সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে দেওয়া হল পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদ। জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে পদত্যাগ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এই সংসদের মেয়াদ ছিল। তার তিন দিন আগেই সংসদ ভেঙে দিতে চেয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী তিনদিনের মধ্যেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। সেই সঙ্গেই দেশের নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন মাসের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই জেলবন্দি করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan)। তারপরই তড়িঘড়ি সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন শাহবাজ শরিফ।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু, তদন্তে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড]
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। নির্বাচনে আদৌ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শাহবাজ শরিফের দলের, এমনটাই সূত্রের খবর। কারণ, আর্থিক সংকটে কার্যত বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তার মধ্যে নির্বাচন হলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াতে পারে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে পাকিস্তানে হিংসা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে পাকিস্তানের একাধিক বিরোধী দলের দাবি, ক্ষমতা ধরে রাখতেই নির্বাচনে গড়িমসি করছে পাক সরকার।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সরকার ভেঙে দিতে হয়। কিছুদিনের জন্য দেশ চালানোর ভার নেয় কেয়ারটেকার সরকার। নির্বাচনে লড়ার জন্য কোনও দলই যেন বেশি সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই এমন নিয়ম। বিরোধী দলনেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে ঠিক করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। সেখানে একমত হতে না পারলে একটি কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করতে হয়। সেখানেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে দেশের নির্বাচন কমিশনের তরফেই একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।