shono
Advertisement

মাথায় ঝুলছে দুর্নীতির খাঁড়া, টাকা নয়ছয়ের মামলায় বিপাকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাহবাজের ছেলে হামজারও।
Posted: 09:49 AM Apr 28, 2022Updated: 09:49 AM Apr 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি আর পাকিস্তান (Pakistan) যেন সমার্থক। দুর্নীতি দমন ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন ইমরান খান। একই আশ্বাস দিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু ক্ষমতা দখলের মাস না ঘুরতেই আর্থিক দুর্নীতির মামলা বিপাকে পড়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শরীর খারাপ পুতিনের! যুদ্ধের আবহে ‘অমর’ রুশ প্রেসিডেন্টকে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আর্থিক দুর্নীতির একটি মামলায় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর ছেলে হামজা শাহবাজকে অভিযুক্ত করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ আদালত। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরুতেই টাকা নয়ছয়ের মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন রাজনৈতিক ডামাডোলের জন্য শাহবাজ ও পাঞ্জাব প্রদেশে মুক্তমন্ত্রী নির্বাচিত হামজা উপস্থিতি ছিলেন না। ফলে শুনানি মুলতুবি রাখে পাকিস্তানের স্পেশ্যাল এফআইএ কোর্ট।। গতকাল অর্থাৎ বুধবারও তাঁরা আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান। তারপরই বিচারক স্পষ্ট জানান, টাকা নয়ছয়ের মামলায় শাহবাজ ও হামজাকে অভিযুক্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, আগামী মে মাসের ১৪ তারিখ পিতা-পুত্রকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।

উল্লেখ্য, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চালায় পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ)। তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শাহবাজ শরিফের পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে শরিফের ছেলে শাহবাজ ও সুলেমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন ও আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইনে মামলা করে এফআইএ।

ইমরানের দলের নেতা তথা পাকিস্তানে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে লাহোরে এফআইএ পক্ষের প্রধান আইনজীবিকে আদালতে হাজির না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মামলাটির রায়দান আটকে যায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই মামলায় এফআইএ-র প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান ইস্তফা দিয়েছেন। জানা জায়, শাহবাজ শরিফ, হামজা শাহবাজ এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের বিদ্রোহী নেতা জাহাঙ্গীর তারিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন তিনি। এদিকে, শরিফ পরিবারের অভিযোগ, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণে সাজানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ১১টি দুর্নীতি মামলায় দোষী সু কি, পাঁচ বছরের জেল মায়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement