সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই শেষ হওয়ার কথা ছিল ৯০ দিন গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ। কিন্তু তা শেষ হওয়ার আগে আরও ৯০ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হল সেই মেয়াদ। ফলে আরও তিনমাস বাড়িতেই থাকতে হবে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে। শুধু হাফিজ নন, তার চার সহযোগীরও গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক-পাঞ্জাব সরকার। সন্ত্রাসদমন আইনেই এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে হাফিজের উপর এবং খুব দ্রুতই বিবৃতিও জারি করা হবে, জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।
[বাঙালির ভালবাসার রাজপ্রাসাদে আজও তিনি মুকুটহীন রাজা]
এক সাক্ষাৎকারে ওই আধিকারিক বলেন, ‘হাফিজ সইদ, প্রোফেসর মালিক জাফর ইকবাল, আবদুর রেহমান আবিদ, কাজি কাসিফ হুসেইন এবং আবদুল্লাহ উবেইদের গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরি নিসারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
[দ্বিতীয় ফরাক্কা ব্রিজ গড়বে রাজ্য]
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের বহু নির্দেশ সত্ত্বেও হাফিজ এবং তার সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে নারাজ ছিল পাকিস্তান। এমনকি, উরি, পাঠানকোটে হামলার পরও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির মূলে ছিল হাফিজকে আড়াল করা। কিন্তু জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় পাক সরকার। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে পাকিস্তানকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই হুমকির পরেই হাফিজকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় পাক প্রশাসন। ৩০ জানুয়ারি তাকে গৃহবন্দি করা হয়।
[রাজধানীতে প্রকাশ্যে গুলির লড়াই, পুলিশকর্মী-সহ মৃত ৩]
এছাড়া বিদেশমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবার শাখা সংগঠন হিসেবে পরিচিত জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফাল্লাহ-এ-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের নানা কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানো শুরু হয়। কিছুদিন আগে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখার জন্য আদালতে পাক সরকারের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করে হাফিজ। তার পাল্টা হলফনামা দাখিল করে হাফিজকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যাও দেয় পাকিস্তান। এরপরেই পাক সরকারের নতুন এই পদক্ষেপে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে হাফিজ সইদ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[এই আশ্চর্য তালা খোলার কায়দা জানলে আপনিও চমকে উঠবেন]
The post আরও ৯০ দিন হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিল পাক সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.