shono
Advertisement

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে জেহাদিরা, বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতে ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের

মানবিকতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Posted: 02:16 PM Jun 20, 2022Updated: 02:16 PM Jun 20, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারে সেনার সন্ত্রাস দমন অভিযানের মুখে বংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। মানবিকতার খাতিরে তাদের জন্য দ্বার খুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই শরণার্থীদের মধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে বহু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদী। আর পাকিস্তানের মদতে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতে সচেষ্ট ওই জেহাদিরা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রবেশ করেছে বেশকিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী দল। এদের জন্য সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কক্সবাজারের নাগরিকরাও অতিষ্ঠ। জঙ্গিদের জন্যই এলাকায় যখন তখন খুন-খারাপি হয়। পুলিশ এই দুষ্কৃতীদের উপর লাগাম টেনে রাখতে পারছে না। কারণ শরণার্থী শিবিরে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গার মধ্যে কে জঙ্গি তা খুঁজে বের করা কার্যয় অসম্ভব। বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি তথা শেখ হাসিনা সরকারকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে এই ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই সংস্থাটি শুধু ভারতেই জঙ্গিপনা নয়, বাংলাদেশে নাশকতা চালাতে অস্ত্র ও টাকা দিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। কক্সবাজারের সাম্প্রতিক কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জঙ্গিদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে মায়ানমারে ফিরতে চাইছে শরণার্থীরা। প্রত্যাবাসন সমর্থিত এ ধরনের স্লোগান নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘গো হোম’ ক্যাম্পেন করছে রোহিঙ্গারা।

[আরও পড়ুন: অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্ক, মোদি-মমতাকে আম্রপালি ও হাড়িভাঙা আম পাঠালেন শেখ হাসিনা]

রবিবার সকালে উখিয়ার একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ক্যাম্পেনের নামে সচেতনতামূলক জমায়েত হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের মাঝে দেশে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টির পাশাপাশি রোহিঙ্গা অধিকার সংবলিত বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের ‘গো হোম’ ক্যাম্পেন করতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় থেকে নিরাপত্তা বজায় রাখার শর্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ‘গো হোম’ ক্যাম্পেন প্রসঙ্গে সাধারণ রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, তাঁরা বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে শরণার্থী হয়ে থাকতে চান না। নিজেদের ভিটামাটির টানে মায়ানমার ফিরে যেতে চান।

উল্লেখ্য, মায়ানমারে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে তারা। আর সেই প্রভাব এসে পড়ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে। বিগতদিনে শরণার্থীদের মধ্যে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়েছে বলেও একাধিক রিপোর্টে জানিয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সংস্থাগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে শরণার্থী শিবিরে ফের রোহিঙ্গা নেতা খুন হওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশের প্রশাসন ও নিরাপত্তামহল।

[আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন বানচালে ষড়যন্ত্র, নাশকতা রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ হাসিনার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement