সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ও চিনের (China) ‘বন্ধুত্ব’ দিন দিন ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি জানা গেল, বেজিং ফের সামরিক সহায়তা করতে চলেছে ইসলামাবাদকে। চিনের থেকে ২৫০টি ১৫৫ মিমি ৫২ ক্যালিবার ট্রাক-মাউন্টেড গান কিনতে চলেছে পাকিস্তান। ভারতের কাছে থাকা এম-৭৭৭ কামানের মতোই ট্রাকবাহী কামান এবার হস্তগত হবে ইমরানের দেশেরও। নিঃসন্দেহে যা দিল্লির জন্য আগামী দিনে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
চিনের ‘নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর সঙ্গেই বেচাকেনা হবে পাকিস্তানের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কথাবার্তা একরকম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সই হয়ে গিয়েছে চুক্তিও। প্রথম ৫৪টি কামান বছর দুয়েকের মধ্যেই এসে পৌঁছবে। পরবর্তী তিন বছরে আসবে আরও ৫৪টি। এক বছর পরে আরও ৭০টি এবং পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে অবশিষ্ট কামানগুলি। কেবল এই কামানগুলিই নয়, সেই সঙ্গে রাডার, সফটওয়্যারের নজরদারি এড়ানোর ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও পাকিস্তানকে দেবে চিন।
[আরও পড়ুন: কমলা হ্যারিসের জন্য মোদির উপহারে ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া, কী পেলেন বাকি রাষ্ট্রনেতারা?]
২০১২ সালেই পাকিস্তানের সঙ্গে ২২০টি আল খালিদ ট্যাঙ্ক চুক্তি হয়েছিল ওই সংস্থার সঙ্গে। এবং সেটাও দেওয়া হচ্ছিল ঋণের ভিত্তিতে। তবে পাকিস্তান পরে সেই চুক্তি বাতিল করে দেয়। সিদ্ধান্ত নেয় চিনা ভিটি-৪ ট্যাঙ্ক কেনার। সেই চুক্তি গত বছরই হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ট্য়াঙ্ক ইতিমধ্য়েই হস্তগত হয়েছে। এভাবেই চিনা সহায়তায় শক্তি বাড়ছে পাক সেনার।
চিন ও পাকিস্তান দীর্ঘদিনই আর ভারতের মিত্র নয়। মুখে সরাসরি কিছু না বললেও ভারতকে ঘিরে ফেলতে ইসলামাবাদ ও বেজিং যে তৎপর তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল সম্প্রতি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে। বৈঠকে বারবার উঠে এসেছিল বৈঠকের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে ভারতের নাম না-করে বলা হয়, কাশ্মীরে একতরফা ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের গৃহীত প্রস্তাব মেনেই। আফগানিস্তানে ভারতকে কোণঠাসা করার বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।