সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কট্টর ইসলামপন্থী দল ‘তেহরিক-ই-লাবায়েক পাকিস্তান’কে (TLP) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পাকিস্তান (Pakistan)। গত সোমবার থেকে ওই দলের বিক্ষোভে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনশোর বেশি পুলিশকর্মী। অবশেষে ওই দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল প্রশাসন। FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া ইমরানের দেশ। এই পরিস্থিতিতে চরমপন্থী দলগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভাবমূর্তি পরিষ্কার করতে চাইছে ইসলামাবাদ।
গত সোমবার থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করেছিল ‘তেহরিক-ই-লাবায়েক পাকিস্তান’ বা TLP। তাদের প্রধান সাদ হুসেন রিজভির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছিল তারা। টিএলপি আগে থেকেই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ২০ এপ্রিলের আগেই পাকিস্তানের ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে হবে। সেই দাবি মানেনি ইমরান সরকার। সেখান থেকেই শুরু প্রতিবাদের।
[আরও পড়ুন: মোদি ক্ষমতায় থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে অবনতির সম্ভাবনা বাড়বে, বলছে মার্কিন রিপোর্ট]
কিন্তু কেন ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি? আসলে ফ্রান্সের ‘শার্লি এবদো’-তে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকাকে কেন্দ্র করেই তাদের প্রতিবাদ। ফ্রান্সের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক বন্ধ করতে চায় তারা। যদিও গত নভেম্বরেই ইমরান খানের ‘তহরিক-ই-ইনসাফ’ সরকার টিএলপির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ওই ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কারের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে। তখন জানা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সেই চুক্তির মেয়াদই শেষ হচ্ছে আগামী ২০ এপ্রিল। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলের প্রধান সাদ হুসেন রিজভিকে।
গত তিনদিন ধরেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল টিএলপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। অবশেষে তাদের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যে সব রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছিল তাকে খালি করা হয়েছে। তবে এখনও কিছু স্থানে প্রতিবাদীরা রয়েছে। তাদেরও শিগগিরি সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাক প্রশাসন। ধূসর তালিকা থেকে বেরনো হয়নি ইসলামাবাদের। এই পরিস্থিতিতে চরমপন্থী দলগুলির বিরুদ্ধে যে আরও কড়া হতে চাইছেন ইমরান, তা টিএলপি’র বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ থেকে বোঝা গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।