সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ জাদবের (Kulbhushan Jadhav) জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে ভারত। সোমবার এমনটাই রায় দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। এর আগে আইনমাফিক কুলভূষণের জন্য একজন আইনজীবী ঠিক করেছিল পাক প্রশাসন। তবে সেক্ষেত্রে ভারত সরকার বা ধৃত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর মত নেওয়া হয়নি। যার ফলে গোটা প্রক্রিয়াই যে আসলে নাটক তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: মসনদে থাকতে জরুরি অবস্থা জারি করতে চান ট্রাম্প, উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ]
গত মে মাসে ‘International Court of Justice Review and Reconsideration Ordinance 2020’ শীর্ষক একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করে পাক সরকার। কয়েকদিন আগেই বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেই সেটি পাশ হয়ে যায়। এর ফলে সেনা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন করা যাবে। বিশ্লেষকদের মতে, এতদিন বিচারের নামে প্রহসন করে এসেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে পাক সেনা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার নামে সেনার শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশিকা পালন করা হয়। তবে এবার ভারত পছন্দসই আইনজীবী নিয়োগ করতে পারলে কিছুটা ন্যায়ের আশা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লার নেতৃত্ব গঠিত এই বেঞ্চেই শুনানি হয় প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিকের মামলার। এর আগে গত মাসেই ভারতীয় অধিকারিদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেয় ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান দাবি করেছিল, মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনা চান না ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী কুলভূষণ যাদব। নিজের আইনি অধিকার প্রয়োগ করে আদালতে সাজা পুনর্বিবেচনার আরজি দাখিল করতে রাজি হননি তিনি। পাকিস্তানের অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, জুনের ১৭ তারিখ সাজা পুনর্বিবেচনার আরজি জানানোর কথা বলা হয়েছিল কুলভূষণ জাদবকে। তবে নিজের আইনি অধিকার প্রয়োগ করে কোনও আপিল করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। এই মর্মে আগে দাখিল করা ক্ষমা প্রার্থনার আপিলের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। উল্লেখ্য, পাক সেনার দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছে মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানিয়ে আপিল করেছিলেন কুলভূষণ।
[আরও পড়ুন: পিরামিড তৈরি করেছে ভিনগ্রহীরা, এলন মাস্কের দাবিতে তুঙ্গে জল্পনা]
The post কুলভূষণ মামলায় নয়া মোড়, এবার আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.