যুদ্ধ কি লাগল বলে? হামলা-পালটা হামলার মাঝেই ইরানের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের

11:06 AM Jan 20, 2024 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সংঘাত চরমে। হামলা-পালটা হামলায় যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে আলোচনার টেবিলে বসল ইসলামাবাদ ও তেহরান।     

Advertisement

পাক বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তেহরানের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক। ভৌগলিক অখণ্ডতা তথা সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক সম্মান যে জরুরি সেটাও জানানো হয়েছে। বৈঠকের পর দুই দেশের তরফে যৌথবিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও সংঘাতের মেঘ কাটানোর বিষয়ে সহমত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য,  গত কয়েকদিন ধরে হামলা পালটা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুদেশের সম্পর্ক। নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান নামে একে ওপরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় দুই দেশ। যা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পর এবার মধ্য এশিয়ায় যুদ্ধের মেঘ ঘনাবে বলে আশঙ্কা ছিল আন্তর্জাতিক মহলের।  

শুক্রবার পাক বিদেশমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ফোনে কথা বলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান সঙ্গে। সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। তার পরেই এক্স হ্যান্ডলে পাক বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতি দেয়। জানানো হয়, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ইরান ও পাকিস্তান। সংঘাত জারি রাখতে আগ্রহী নয় ইসলামাবাদ।’ পাশাপাশি এদিন সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকর। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইরানের সঙ্গে ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে পাকিস্তান (Pakistan)। 

[আরও পড়ুন: এবার চাঁদে পা রাখল জাপান, তবে ইসরোকে টেক্কা দিতে পারল না ‘মুন স্নাইপার’, কেন?]

দুই মুসলিম প্রধান দেশের মধ্যে হওয়া এই সংঘর্ষ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কূটনৈতিক মহল। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত, চিন, রাশিয়া ও আমেরিকা-সহ বহু দেশ। রাষ্ট্রসংঘ ও মার্কিন প্রশাসন দুই দেশকেই সংযত হয়ে উত্তেজনা কমানোর বার্তা দিয়েছিল। অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়েছিল চিন।  

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আগে পাকিস্তানের জেহাদি ডেরায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান (Iran)। পাকিস্তানের সবথেকে বড় প্রদেশ বালোচিস্তানে জেহাদি সংগঠন জইশ আল আদলের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ড। এই হামলার পিছনে তেহরানের যুক্তি ছিল নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানো হয়েছে। গত বুধবারই হামলার পালটা দেয় পাক ফৌজ। একই যুক্তি দেখিয়ে ইরানে বালোচ বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালায় ইসলামাবাদ। দুই দেশের এই সংঘর্ষে দুই শিশু-সহ ১১ জনেরে মৃত্যু হয়। এর পরই একে ওপরের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে দুই দেশ। 

Advertisement