সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন! শুক্রবার সেদেশের সেনেটে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পেশ হওয়া প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হল।
শুক্রবার নির্দল সেনেটর দিলাওয়ার খান একটি প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁর দাবি ছিল, যেহেতু পাকিস্তানের (Pakistan) বহু প্রদেশই শৈত্যে কাবু এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো নয়, তাই পিছিয়ে দেওয়া হোক নির্বাচন। তাঁর প্রস্তাবকে বিপুল সমর্থন করেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্যরা। পাক তথ্যমন্ত্রী মুর্তাজা সোলাঙ্গি ও নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন প্রস্তাবের বিরোধিতায় মুখর হলেও শেষ পর্যন্ত পাশ হয়ে গেল প্রস্তাব। ফলে পিছিয়ে গেল পাকিস্তানের নির্বাচন। এদিন অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৪ জন।
[আরও পড়ুন: মদ থেকে মারণাস্ত্র, কোটি কোটি নগদ! হরিয়ানায় কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি ইডির হানা]
ঠিক কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন দিলাওয়ার খান? তাঁর যুক্তি ছিল দেশের বহু অংশই শীতেই কাবু। এদিকে বালোচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা রক্ষীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতারাও বাদ যাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সংগঠিত করা উচিত নয়। পাক সুপ্রিম কোর্ট পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সংঘটিত করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যত শিকেয় তুলে সেনেটে পিছিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন। এদিকে নির্বাচন পিছনোর প্রভাবও পড়েছে পাক শেয়ার বাজারে। রাতারাতি ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ল শেয়ারের দর।