সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো (Zulfikar Ali Bhutto)। এর পর একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯৭৯ সালে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। সেই বিচার ‘স্বচ্ছ ও সঠিক আইনি পদ্ধতি’ মেনে হয়নি, বুধবার এমন চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কার্যত বিচার প্রক্রিয়ার ‘ভুল স্বীকার’ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। যার পর আঙুল উঠছে সেনার দিকে। যা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। যদিও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, সেনা অভ্যুত্থানে অস্থির ছিল পড়শি দেশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা বদল হয়নি। তার অন্যতম নিদর্শন ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হকের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান। জিয়াউলই ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন ভুট্টোকে। এমনকী তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর পর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুনের অভিযোগ এনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ভুট্টোকে। এবং তাঁকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন:খড়গপুর রেল কলোনির উচ্ছেদ রুখতে আন্দোলনের নির্দেশ মমতার]
সেই সময়ই জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তুলেছিল ভুট্টোর পরিবার। ৪৫ বছর সেই দাবিকেই মান্যতা দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। কার্যত সেনা সরকারের ‘ভুল’ স্বীকার করে নিল। প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইশার নেতৃত্বাধীন ন’জন বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘স্বচ্ছ এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে সে দিন বিচার হয়নি। এই মামলায় বিস্তারিত রায় আমরা পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করব।’’ উল্লেখ্য, ভুট্টোর পুত্র বিলাবল বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা। যদিও সে দেশে সেনার ক্ষমতা কিছুমাত্র কমেনি। সুপ্রিম রায়ের পর পাক সেনা কী মন্তব্য করে, সেটাই এখন দেখার।