সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মেয়ের সম্পর্ক বিশ্বের অন্য়তম সুন্দর সম্পর্ক। মেয়েদের প্রতি এ স্নেহের টানের কোনও তুলনা চলে না। কিন্তু এই সম্পর্কই হঠাৎ বদলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিণত হলে, মেনে নেওয়া কঠিন বইকী! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। নিজের মেয়েকেই বিয়ে করলেন বাবা। পাকিস্তানি দম্পতির কীর্তিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ভালবাসা কোনও বাধা মানে না। যুক্তি-নিয়মের ধার ধারে না। প্রেমেতে মজিলে মন যে কোনও অসম্ভবই সম্ভব। কাব্যে-কবিতায় প্রেমের নানা দৃষ্টান্ত ফুটে ওঠে। কিন্তু তাই বলে নিজের মেয়েকেই বিয়ে! এ কেমন প্রেম? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে এ প্রশ্নই করছেন নেটিজেনরা। ভিডিওতে বাবা-মেয়ের বিয়ের মুহূর্তে ধরা পড়েছে। কনে অর্থাৎ পাক তরুণীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, যে বাবার সঙ্গে বিয়ে করতে তিনিও রাজি।
[আরও পড়ুন: ‘ভোটে এত মানুষ খুন হল, সাংসদ হয়ে আপনি জুয়ার বিজ্ঞাপন করছেন, ছিঃ’! কটাক্ষ নুসরতকে]
শুনলে আরও অবাক হবেন যে এটি ওই ব্যক্তির প্রথম বিয়ে নয়। চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে নিজের মেয়েকে গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু কেন নিজের মেয়েকেই বিয়ে করলেন ওই পাক ব্যক্তি? কেনই বা বাবাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন তরুণী? যুক্তি শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে। তরুণীর দাবি, নিজের নামের জন্য তিনি বাবার সঙ্গেই নিকাহ্ ‘কবুল’ করেছেন। সেটা কীরকম? জানতে চাইতেই তরুণীর উত্তর, “আমার নাম রাবিয়া। আমি শুনেছি কোনও ব্যক্তির চতুর্থ মেয়ের নাম রাবিয়া হয়। কিন্তু আমি আমার মা-বাবা চতুর্থ না, দ্বিতীয় সন্তান। তাই কীভাবে চার নম্বর হওয়া যায়, তার একটা সমাধান সূত্র খুঁজছিলাম। তখনই মাথায় এল বাবার তো তিনটে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাহলে বাবাকে বিয়ে করলে চতুর্থ স্ত্রী হওয়া যাবে।” এই যুক্তিতেই নাকি জন্মদাতাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে।
তরুণীর মুখে এহেন সাফাই শুনে হতবাক নেটিজেনদের একাংশ। শুধুমাত্র নামের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকে। কিন্তু বাস্তব যে কল্পনার চেয়েও অদ্ভুত!