সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল করে দিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দেশের সাধারণ নির্বাচনের জন্য লাহোর এবং মিয়ানওয়ালি, দুই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন ইমরান। তাঁর দুটি মনোনয়নই বাতিল করে দিল পাক নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইমরান (Imran Khan) দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত। দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের বেশি জেলের সাজা হলে তাঁর ভোটে লড়ার অধিকার থাকে না। তাছাড়া ইমরান লাহোর কেন্দ্রের বাসিন্দাও নন। তাই লাহোর থেকে তাঁর মনোনয়ন এমনিও গ্রহণ করা হত না। আর দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার জন্য মিয়ানওয়ালির মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। জোড়া মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ইমরান খান পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ভাগবত, দুর্গাপুরে দত্তাত্রেয়, হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে লোকসভার আগে তৎপর RSS?]
বলে রাখা ভালো, তোষাখানা মামলায় গত ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন ইমরান। হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়। পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি বলেও জানানো হয়। তার পর থেকে ওই পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক জেলেই বন্দি ছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে সাইফার মামলাও করা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইমরানকে অটোক জেল থেকে স্থানান্তর করা হয় আদিয়ালা জেলে। এই মুহূর্তে একের পর এক মামলার খাঁড়া ঝুলছে তাঁর মাথায়।
[আরও পড়ুন:‘মা, আমি কি VIP?’, তৈমুরের অবুঝ প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন করিনা?]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইমরান খানের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ আছে পাকিস্তানের আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও। কিন্তু তাঁকে ভোটে লড়ার অনুমতি দিচ্ছে পাক নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই ইমরানের দল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। ইমরানের মিডিয়া টিমের অভিযোগ, সেনার ষড়যন্ত্রে ভোটে লড়তে পারছেন না ইমরান।