সুমন করাতি, হুগলি: একই পরিবারের ৩ সদস্য় তিনটি আলাদা দলের হয়ে ভোটের ময়দানে। বাবা-ছেলে লড়ছেন তৃণমূল আর বিজেপির হয়ে। আর কাকা লড়ছেন সিপিএমের হয়ে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে একই পরিবারের ৩ সদস্যের জমজমাট লড়াই দেখতে মুখিয়ে হুগলির আরামবাগের সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) বাসিন্দারা।
আরামবাগের সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী সুফল চানক। তাঁর ছেলে প্রফুল্ল চানক ভোটে লড়ছেন বিজেপির হয়ে। আর সুফলবাবুর ভাই সুকুমার চানক লড়ছেন সিপিএমের হয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াই থাকলেও তার প্রভাব পরিবারের মধ্যে পড়বে না বলেই দাবি করেছেন তিন প্রার্থীই।
[আরও পড়ুন: ‘কোরান পোড়ানো বেআইনি নয়’, বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি ন্যাটো প্রধানের]
সুফল চানক রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আর ছেলে প্রফুল্ল চানক বিজেপির হয়ে নিজের মত করে দলের হয়ে ভোট প্রচার সারছেন। ভাই সুকুমার চানকও রাজনৈতিক লড়াইতে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তিনিও সিপিএমের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন জোরকদমে। তবে প্রচার শেষে আবার একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকা-খাওয়া সবই চলছে একসঙ্গে। রাজনৈতিক লড়াই থাকলেও নেই কোনও পারিবারিক লড়াই।
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুফল চানক বলছেন, তিনি সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে যাচ্ছেন। ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। ভাই আর ছেলে আলাদা দলে দাড়িয়েছে। সেটা তাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। রাজনৈতিক লড়াই হবে ঠিকই কিন্তু পরিবারে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অপরদিকে সুকুমার চানক বলেন. তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএম করেন। দাদা আর ভাইপোর সাথে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও পরিবারে এর কোনও প্রভাব নেই। তিনি যে বিষয়গুলো ভোটে মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন সেগুলো তুলে ধরেই মানুষকে সিপিএমকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। আর বিজেপি প্রার্থী প্রফুল্ল চানক বলেন, “যার যে দল পছন্দ সে সেই দল করবে, এটা স্বাভাবিক। পরিবারে বাবা ও কাকা আলাদা দলের হলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই। লড়াইটা রাজনৈতিক, পারিবারিক নয়। তাই ভোটের প্রভাব পরিবারের মধ্যে পড়ে না।”
[আরও পড়ুন: ‘শুভ লাভ দেখলেই মনে পড়ে সেই কথা…’, ক্লাসরুমের গল্প শোনালেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়]
তবে একই পরিবার থেকে তিনদলের তিন প্রার্থী হওয়ায় জমে উঠেছে রাজনৈতিক লড়াই। কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এখন দেখার ভোটের ফল বেরনোর পর শেষ হাসি কে হাসে! সেই দিকে তাকিয়ে আরামবাগ সালেপুর এলাকায় মানুষ।