জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের কুকথার রাজনীতি। এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) ধরাশায়ী হয়ে কুকথার বন্যা ছোটালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। পুলিশ, প্রশাসনকে গণপিটুনির দাওয়াই দিলেন তিনি। আবার বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াও বিডিওকে জুতোপেটার নিদান দিলেন। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের মন্তব্য়ের তীব্র নিন্দা করেছেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কটাক্ষ, ভোটে হেরে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের।
মতুয়াগড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নিজের বুথেই পরাজয় হয় বিজেপি প্রার্থীর ৷ গাইঘাটা ব্লকে ভরাডুবি হয় বিজেপির। গাইঘাটার ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টিতে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। একটি ত্রিশঙ্কু হয়েছে। গাইঘাটা ইছাপুর ২ পঞ্চায়েতের ৪২ নম্বর বুথে বাড়ি শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর ভাই সুব্রত ঠাকুরের। আবার বাগদায় ৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী শম্পা অধিকারী। তাঁর বিপক্ষে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দিপালী বিশ্বাস। বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন, “দিপালী ৫ হাজার ১০০-এর বেশি ভোটে জয়লাভ করেছে ৷ আমরা নিজেরা গণনাকেন্দ্রে গুনেছি। কিন্তু রাত চারটে থেকে তাঁকে উইনিং স্লিপ দিচ্ছে না।” সকালে জানা যায় তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরপরই ক্ষিপ্ত বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। সেখানে উপস্থিত হয়েই পুলিশ প্রশাসনকে গণপিটুনি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর কথায়, “পুলিশ, প্রশাসনকে গণপিটুনি দেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: ‘এখানে গালাগাল দেবেন, আর দিল্লিতে….’, কংগ্রেসকে কড়া বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর]
সুর চড়ান বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াও। বাগদার বিডিওর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনি পালিয়ে পার পাবেন না। জনগণ আপনাকে চেয়ার থেকে তুলে এনে রাস্তায় ফেলে জুতোপেটা করবে।” বনগাঁর পুলিশ প্রশাসনকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন তিনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পুলিশ প্রশাসনকে ঝাঁটা পেটা করা হবে বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কথায়, “হেরে গিয়ে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই এসব বলছে।”