সৈকত মাইতি, তমলুক: পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) ফলপ্রকাশের মাঝে তীব্র চাপানউতোর। তার মাঝেই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার গোবরদান এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ। বাঁশবাগানের পাশে পরিত্যক্ত গুদাম ঘর থেকে বাঁশ টানতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে উড়ল বৃদ্ধের হাত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নার গোবরদান এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জখম ওই ব্যক্তি গোবরদান কোনমাথার মোড় বাজার লাগোয়া ভুঁইয়া পাড়ার বাসিন্দা গুরুপদ ভূুঁইয়া। পেশায় দিনমজুর। গুরুপদ তাঁর স্ত্রী রীনাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে পুকুরপাড়ে বাঁশের ঝোপের মধ্যে পরিত্যক্ত গুদামঘর থেকে একটি বাঁশ টেনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় আচমকা বিকট আওয়াজ হয়। বিস্ফোরণে উড়ে যায় তাঁর বাম হাতের কবজি। রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর জখম হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বোমার ঘায়ে অল্পবিস্তর জখম হন স্ত্রী রিনাদেবীও।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ে নিজের ঘরেই হার আরাবুলের! গণনা শেষের আগেই ছাড়লেন গণনাকেন্দ্র]
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়দের চেষ্টায় গুরুপদকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলে মানিক ভুঁইয়া বলেন, “কাঠ, বাঁশ, জ্বালানি ও বরজের নানা সামগ্রী-সহ ঠাসা ছিল পরিত্যক্ত গুদামঘরটি। তাই কখন, কীভাবে, কে বা কারা এভাবে বোমা রেখে গিয়েছিল তা বাবা বুঝতে পারেননি। আর তাতেই বাঁশ টানতে গিয়ে বোমার আঘাতে উড়ে গিয়েছে বাম হাতের অনেকটা অংশ।” কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির বড় বউমা মামনি ভূুঁইয়া।
তিনি বলেন, “বাবা কোনওদিনই রাজনৈতিক ঝামেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সব সময়ই হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন। বাড়ির গোয়ালঘরে বাঁশ দিয়ে ঘেরার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় যে এভাবে এমন অঘটন ঘটতে পারে আমরা তা কখনই কল্পনা করতে পারিনি।” ঘটনার তদন্ত নেমেছে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা। এ বিষয়ে ময়না থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক মাহিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।”