সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) লাগাতার বোমাবাজি। গুলিবৃষ্টি। অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃীতিদের রীতিমতো দাপাদাপি চলল একাধিক জেলার একাধিক ব্লকে। কিন্তু এত আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা রাজ্যে এল কোথা থেকে? খুঁজে বের করতে NIA তদন্ত চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে রাজ্যে অশান্তি নিয়ে সিবিআই তদন্তও দাবি করলেন তিনি। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ফোন করা হয় অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেও। তাঁদের কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেন সুকান্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সুকান্তকে ফোন করেন।
রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনের সকাল থেকেই অশান্তির খবর মিলছিল। বোমা-গুলির লড়াইয়ের পাশাপাশি সামনে আসছিল মৃত্যুর খবরও। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৭ জনের হত্যার খবর মিলেছে। যা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য় রাজনীতি। রাজ্যে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যে এত অস্ত্র এল কোথা থেকে? এর NIA তদন্ত দাবি করেছেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে অশান্তিতে মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রেলকর্মীর মৃত্যু পরই দেহ নিয়ে টানাটানি দুই স্ত্রীর! শোরগোল কলকাতার হাসপাতালে]
পাশাপাশি রাজ্যপালকে বিঁধেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ” কোনওভবে এই রাজ্য সরকার চলতে দেওয়া যায় না। গোটা রাজ্যে যা অবস্থা তাতে ৩৫৬ ধারা জারি করা উচিত। রাজ্যপাল কী করেন দেখি। উনি কেন ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা জারির দাবি করছেন না? তাঁর আরও দাবি, “রাজ্যপালের বদান্যতায় তৃণমূল সরকার টিকে আছে।” এদিকে সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। ফোন করেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির রাজ্য় সভাপতি জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখনই। সেটা ৩৫৫ ধারা হতে পারে, ৩৫৬ ধারা হতে পারে। কোনটা হবে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক।” রাজ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত।
উল্টোদিকে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “আগে মণিপুরে দেখুন কী হচ্ছে! কত মৃত্যু হচ্ছে সেখানে। সেই অশান্তি তো থামাতে পারেননি। আগে সেই অশান্তি থামাক, তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন।”