ধীমান রায়, আউশগ্রাম: ভোটকর্মীরা (Bengal Panchayat Election) বুথে যেতে না যেতেই সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষ। রণক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার বিষ্ণুপুর। শুক্রবার সন্ধের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই প্রার্থী-সহ মোট ৫ জন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী তথা আউশগ্রামের অমরপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান এবাদত শেখকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দু’জনকে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সিপিএম প্রার্থী সাদেক আলি শেখকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে ভোটকর্মীরা।
বিষ্ণুপুর গ্রামের ৭, ৭ক, এবং ৮ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে আর ভোটগ্রহণ করাতে পারবেন না বলে প্রশাসনের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন ওই বুথের কর্মীরা। তবে ঘটনার পর প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
[আরও পড়ুন: বান্দোয়ানে চন্দ্রবোড়া, কালাচের আতঙ্ক, বুথে পৌঁছেই কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ালেন ভোটকর্মীরা]
অমরপুর পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭, ৭ক, এবং ৮ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই বুথে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ভোটকর্মীরা বুথে আসার পর তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ও বুথের পরিস্থিতি দেখতে চলে আসেন দুই দলের প্রার্থী-সহ দলীয় বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। তারপর দু’পক্ষই ভোটকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তখন সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর বচসা শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁরা ভোটকর্মীদের প্রভাবিত করছেন। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। তারপরেই দু’পক্ষের আরও কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। ঘটনার পর এলাকায় চলে আসে প্রচুর পুলিশ।