সুকুমার সরকার, ঢাকা: সকালে উঠেই চোখে পড়েছিল ছেলের ঝুলন্ত লাশ। সুকৌশলে দেহ নামিয়ে বস্তায় ভরে শৌচাগারে বালি চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন মৃতের বাবা-মা। তার পর বেরিয়ে পড়েছিলেন ভোটের প্রচার করতে। অবশেষে দু’দিন পর বিবেকের তাড়নায় পুলিশকে খবর দেন তারা। পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দম্পতিকেও আটক করা হয়। শুক্রবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে।
বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা করুণা বেগম ও তাঁর স্বামী আলহাজ। তাঁদের ছেলে আবদুল করিম। বয়স ১৮। বহুদিন ধরেই তিনি মাদক নিতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরেই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। পরদিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও তাঁর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে তাঁর বাবা-মা ঘরে উঁকি দিয়ে দেখেন, সিলিং থেকে ছেলের দেহ ঝুলছে।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls 2021: তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে বহু পুরনো সৈনিককে বাদ দিল তৃণমূল, কারা পেলেন না টিকিট?]
জেরার মুখে পুলিশকে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে দেহটি নামিয়ে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে বালি চাপা দিয়ে দেয়। তার পর ভোটের প্রচারে বের হন। প্রসঙ্গত, করুনা বেগম চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু’দিন পর ছেলের শোকে ভেঙে পড়েন তাঁরা। শেষে করিমের বাবা আলহাজ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শুক্রবার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: EPF: হাতে মাত্র তিনদিন, এই কাজটি না করলেই বন্ধ হবে পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা]
জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন করুনা বেগম পুলিশকে জানান, তাঁদের এক ছেলের বউ প্রায় দু’বছর আগে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছিল। ওই সময় তদন্ত চলাকালীন তাঁরা আর্থিকভাকে সর্বশ্বান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই ছেলের আত্মহত্যায় নতুন করে ঝামেলায় জড়িয়ে বসতভিটা হারাতে হতে পারে, এই ভয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল তাঁরা। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন ওই দম্পতি।