অর্ণব আইচ: কণ্ঠরোধ, বেকারত্বের প্রতিবাদ। আর তার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় হামলার ছক। সংসদে গ্যাস হামলা (Gas Attack in Parliament) ঘটিয়ে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দেওয়া। একরাশ আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। এত সব কাণ্ড ঘটানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে এই মুহূর্তে গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে গুরুগ্রামের ললিত ঝা। সোশাল মিডিয়ায় সে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিল। খোঁজখবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, ললিতের কলকাতা-যোগ (Kolkata) অনেকটাই। শহরের একাধিক ঠিকানা ছিল তার ডেরা। যে সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা, সেখানে আসলে কী হয়? শুধুই সমাজসেবা নাকি অপরাধমূলক কাজকর্ম? জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
সংসদ হামলায় ধৃত ৬ জনের বিস্তারিত প্রোফাইল (Profile) খুঁজছে দিল্লি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। এর মধ্যে ললিত ঝা-র কলকাতা যোগের ইঙ্গিত পাওয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশও। তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, কলকাতায় একাধিক ডেরা ছিল ললিতের। প্রথমে পরিবার-সহ সে থাকত ২১৮, রবীন্দ্র সরণিতে। কোভিডের (COVID-19) পর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। ললিতের বাবা পূজারি। তাঁর সুখ্যাতিও আছে। যে বাড়িতে তিনি পুজো করতেন, সেই বাড়িতেই থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর পর মথুরা, শাহী ইদগাহ মসজিদে সার্ভের আর্জিতে সায় হাই কোর্টের]
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৪৯, মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে থাকতেন ললিতের বাবা। সেই সূত্রে ললিতও বেশ কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়েছে। দেড় বছর আগে সেখান থেকে চলে যান। এর পরই সম্ভবত গুরুগ্রামে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। আর সেই ডেরায় বসে সংসদে হামলার পরিকল্পনা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে NGO-র সঙ্গে ললিত যুক্ত, সেটিও কলকাতার। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ঠিক কী কাজ হয়, শুধু পড়াশোনা কিংবা সমাজসেবাই হয় নাকি এর আড়ালে চলে দেশবিরোধী কাজ? সেদিকে নজর তদন্তকারীদের।