নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: চিঠির মাধ্যমে জবাব দিয়ে কোনও লাভ হল না। দলবদল আইনে সাংসদ (MP)পদ নিয়ে জটিলতার ঘটনায় এবার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। সেখানেই তাঁর যাবতীয় বক্তব্য জানাতে হবে। সোমবার এই মর্মে প্রিভিলেজ কমিটির তরফে চিঠি পাঠিয়ে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর দিল্লি (Delhi) গিয়ে শিশির অধিকারীকে প্রিভিলেজ কমিটির হাতে হাজিরা দিতে হবে। এ বিষয়ে এখনও বর্ষীয়ান সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে ফের জিতেছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান বদলে যায়। হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রচারমঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার আগে অবশ্য ছেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) রাজ্যের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে, তৃণমূলের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। সে পথে হেঁটে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীকেও দেখা গিয়েছিল মোদির মঞ্চে। শিশিরবাবুর দলবদল নিয়ে আর কোনও অনিশ্চয়তা ছিল না।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে বিদ্রোহের জের, কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে গেহলটকে চান না রাহুল-সোনিয়া]
এরপরই বর্ষীয়ান সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূল পদক্ষেপ করে লোকসভায়। অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। একাধিক চিঠি পাঠান তিনি। শেষ চিঠির বিষয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “শিশির কমিটির কাছে যে জবাবি চিঠি দিয়েছিল সেটি আমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উনি সেখানে ভাসা ভাসা উত্তর দিয়েছেন। বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন, সেকথাও স্বীকার করেননি। অথচ গত বছর বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিশির মঞ্চে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছিলেন, তা আমরা সবাই দেখেছি। এমনকী গত আগষ্ট মাসে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিশির ও তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী উভয়েই তৃণমূলের ভোটদান করার থেকে বিরত থাকা সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও ভোট দিয়েছিলেন।”
[আরও পড়ুন: দেশবিরোধী ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ, এবার ৪৫টি ইউটিউব ভিডিও ব্যান করল কেন্দ্র]
গত সপ্তাহে স্পিকারকে ফের চিঠি পাঠিয়ে তিনি নিজের বক্তব্য জানান। এরপর সোমবার প্রিভিলেজ কমিটির তরফে শিশির অধিকারীকে সরাসরি ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১২ অক্টোবর তাঁকে প্রিভিলেজ কমিটির (Priviledge Committee) সামনে গিয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই বিষয়টি জানিয়েছে প্রিভিলেজ কমিটি।