বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সংসদীয় কমিটির হুঁশিয়ারির মুখে জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন শপিং সংস্থাগুলি। বিষয়বস্তু সম্পর্কে সতর্ক না হলে পাহারাদার বসাতে বাধ্য হবে। ফেসবুক (Facebook), টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে এভাবেই সতর্ক করল সংসদের অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।
মঙ্গলবার কমিটির বৈঠকে এই দুই সোশ্যাল জায়ান্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি অনলাইন বিপনন সংস্থাকেও ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ ছিল, এই সংস্থাগুলি খুচরো ব্যবসায় নামায় দেশের ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদিও সংস্থার প্রতিনিধিরা অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের দাবি, দেশের মোট ব্যবসার মাত্র পাঁচ শতাংশ তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন তথ্য সঠিক নয়।
[আরও পড়ুন: পুজোয় অনুদানের ২৫৮ কোটিতে কী কী উন্নতি হত রাজ্যে? হিসাব দিল BJP, পালটা জবাব তৃণমূলের]
দেশের ছোট ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ুন, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। কমিটির তরফে সতর্ক করা হয় বলে সূত্রের খবর। আবার সংসদীয় কমিটির সদস্যরা জানতে চান, বিভিন্ন সময়ে এই ই-কমার্স সাইটগুলির বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি তৈরি হয়েছে। তাতে তাদের ব্যাখ্যা কী? উল্লেখ্য়, বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের জেরে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে আমাজন (Amazon)। কখনও রাধাকৃষ্ণের অশ্লীল ছবি বিক্রি তো কখনও শিশুর আধার কার্ডের ছবি আপলোড করায় সমালোচিত হয়েছে এই সংস্থা। বিতর্ক থেকে বাদ পড়েনি ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল, পেটিএম মলের মতো সংস্থাগুলিও।
সূত্রের খবর, সংসদীয় কমিটির তরফে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্স সংস্থাগুলির কনটেন্টে নজরদারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে অনলাইন শপিং সাইটগুলি। তবে বৈঠকে তারা এও জানিয়েছে, কনটেন্টের ব্যাপারে তারা নিজেরাই লক্ষ্য রাখতে পারবে। আগের থেকে কনটেন্টে এখন অনেক বেশি নজর দেওয়া এবং সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি।