অর্ণব দাস, বারাকপুর: বেলঘরিয়ায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনার পর ফোনে প্রাণনাশের হুমকি, সেইসঙ্গে আরও দুই ব্যবসায়ীকে হুমকির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্ক বারাকপুর এলাকায়। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ওই ব্যবসায়ীদের বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবার এনিয়ে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করলেন বর্তমান সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, ''এই গুন্ডারাজ বেশিদিন চলবে না। আমি শুনেছি, একজনের কাছে ফোন করে বলা হয়েছে, অর্জুন সিং মারার বরাত দিয়েছে। বারাকপুরে এই গুন্ডারাজ অর্জুন সিং (Arjun Singh) কায়েম করেছিল। হেরে যাওয়ার পরেও সে ভাবছে ভয় দেখিয়ে, গুন্ডামি করে মানুষকে সন্ত্রস্ত করবে। কিন্তু প্রশাসন আছে, প্রশাসনের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। নিশ্চিত এর কিনারা হবে।''
কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছে যে হুমকি ফোন এসেছিল, তা বিহারের (Bihar) বেউর জেল থেকে। এ প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, ''বিহারের থেকে কেউ এরকম করলে বাংলার পুলিশের অফিসিয়ালি যে সময় দরকার, সেই সময়টা দিতে হবে।'' বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) তথা একদা সতীর্থ পার্থ ভৌমিকের এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে অর্জুনের জবাব, ''তৃণমূল তো আমার নাম নেবেই। মানুষের এটা বোঝা উচিত। পুলিশের সঙ্গে এই অপরাধীদের সরাসরি যোগাযোগ আছে, তাই পুলিশ এদের ধরছে না।''
[আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নয়, বিকল্প ভাবনা, হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক সোনার দোকানের ডাকাতির অভিযোগ-সহ বারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে মালিকের ছেলেকে খুন, টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুন, বারাকপুর ওয়ারলেস গেট সংলগ্ন বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান লক্ষ করে গুলি চালানোর (Shootout) ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিহারের বেউর জেলে বন্দি সুবোধ সিংয়ের। এর পর চলতি মাসের ১৫ তারিখ বেলঘরিয়ার রথতলা মোড়ে বারাকপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই বারাকপুরের আরেক ব্যবসায়ী তাপস ভকতকেও জেল থেকে ফোনে হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। এই দুটি ঘটনাতেও নাম জড়ায় সুবোধের। জানা যায়, বারাকপুরের ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিকের ছেলে অনির্বাণ দাসের কাছে ২০লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসে। দুটি বাইকে চারজন তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করারও অভিযোগ সামনে আসে। তিনি আবার মোহনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্য হওয়ায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়ায়।