গোবিন্দ রায়: বিচারক যাবেন ট্রেনে। তাই সিট ছাড়তে হল সাধারণ এক যাত্রীকে। ঘটনায় হতবাক হাসনাবাদ-শিয়ালদহ ট্রেনের এক বগি যাত্রী। জানা গিয়েছে, তিনি বসিরহাট আদালতের সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জজ শম্ভু সরকার। বৃহস্পতিবার তাঁর গন্তব্য ছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাই হাসনাবাদ থেকে ছেড়ে আসা ১২টা ৫ মিনিটের ট্রেনে বসিরহাট থেকে ওঠেন তিনি। ট্রেনের সামনে থেকে ৩ নম্বর বগিতে উঠেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এক জানলার ধারে বসে টাকা এক যাত্রীকে উঠে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ততক্ষণে খাকি পোশাকের পুলিশ তাঁকে সরে যেতে বলছে দেখে তৎক্ষণাৎ সরে যান ওই যাত্রী।
বুবাই মণ্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা। ওই যাত্রীর গন্তব্যস্থল ছিল বারাসত। হাসনাবাদ থেকে উঠে জানলার ধারেই বসে ছিলেন তিনি। যদিও এদিন তাঁকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সিট ছেড়ে দেওয়ার পর কোনও কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি সংশ্লিষ্ট বিচারক। বৃহস্পতিবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ট্রেন যাত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কানাঘুষো করলেন কিন্তু বলতে পারলেন না কিছুই।
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাই হিল! দীপিকাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আক্রমণ নেটিজেনদের]
ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সংশ্লিষ্ট বিচারক নির্দিষ্ট সরকারি সুবিধা পান না? যদি তিনি সাধারণ যাত্রীর মতোই যাতায়াত করবেন? তাহলে একজন সাধারণ যাত্রীকেই বা জানলার ধারের ছিট ছাড়া হল কেন? এদিকে, রেলের তরফে প্রবীণদের জন্য সিট বাধাধরাই আছে। তাহলে সাধারণ যাত্রীরা উপর কোপ কেন ? শুধু তাই নয়, সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে যাওয়া ওই বিচারকের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
বসিরহাট আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়র ডিভিশনের বিচারকের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট বসিরহাট আদালতের আইনজীবীদের একাংশ। অসন্তোষ প্রকাশ করে আইনজীবীদের একাংশের দাবি, ট্রেনের সময় দেখে মামলা শোনেন তিনি। অভিযোগ, তিনি আসেন দেরিতে, কোর্ট ছাড়েন দ্রুত।