সুব্রত বিশ্বাস: সোনারপুর স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভের জেরে বন্ধ ট্রেন চলাচল। বুধবার সকাল থেকেই লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো মানুষ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই শহর কলকাতায় জীবিকার সন্ধানে আসা পরিচারিকরা ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষ।
[আরও পড়ুন: ‘অত্যাচার’ থেকে বাঁচতে জন বার্লার বাড়িতে আশ্রয় BJP নেতাদের, ফের উঠল উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি]
বুধবার সকালে স্টাফ স্পেশ্যালে চড়তে দেওয়া এবং ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সোনারপুরে ট্রেন অবরোধ করেন সাধারণ যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মূলত কলকাতায় জীবিকার সন্ধানে যাওয়া পরিচারিকরা এবং শ্রমিকরা রয়েছেন। এদিন সকাল ৭.৩০ থেকে হওয়া প্রতিরোধে আপ ডাউন দুটো লাইনই আটকে গিয়েছে। এর ফলে রেলের কর্মী-সহ বাকিরা কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছেন না। আরপিএফ, জিআরপি ও পুলিশের আবেদন সত্বেও প্রতিবাদকারীরা অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা খেতে পাচ্ছি না। এভাবে না খেয়ে মরার চেয়ে লড়াই করে মরা ভাল। ট্রেনে চড়তে দিতেই হবে।” এই বিষয়ে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানিয়েছেন, “আমরা ট্রেন চালাতে চাই। রাজ্যের অনুমতি পেলেই ট্রেন চলবে। শিয়ালদহ ডিভিশনে অত্যাধিক চাপ। যার মধ্যে বনগাঁ শাখায় অস্বাভাবিক ভিড়। ফলে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। ঝামেলা বাড়ছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।” এদিকে, বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু ট্রেন আটকে রয়েছে। চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা পালটা ক্ষোভ দেখিয়েছেন। ট্রেন খোলার দাবি করছেন অনেকেই। যাত্রীদের বক্তব্য, ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে দূরত্ব বজায় রাখা যাবে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিএসএনএল, হাই কোর্ট ও সংবাদমাধ্যমের কর্মী-সহ বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। এবং তাদের জন্য স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হয়। এরপরে অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত নিত্যযাত্রীরা লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি করেন। বিশেষ করে শিয়ালদহ ডিভিশনে জোরদার হয় পরিষেবা শুরুর দাবি। এই বিষয়ে ১৬ জুন ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেন ডিআরএম। কিন্তু করোনা আবহে অনুমতি দেয়নি রাজ্য। ফলে এখনও লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। তবে চাপের মুখে শিয়ালদহ ডিভিশনে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা ৪০টি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন মোট ২৫২টি স্টাফ স্পেশ্যাল চলছে।
দেখুন ভিডিও: