ধীমান রায়, কাটোয়া: হাসপাতালে রোগীর তাণ্ডব। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালের মধ্যেই ভাঙচুর চালালেন রোগী। নষ্ট করলেন প্রায় লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ। শনিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রোগীর তাণ্ডবের সেই ভিডিও ভাইরাল।
কাটোয়ার গৌরাঙ্গপাড়ার বাসিন্দা ওই রোগী। পেশায় ব্যবসায়ী। জনদরদী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। শনিবার দুপুরে হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। ছিলেন হাসপাতালের এইচডিইউতে। হঠাৎ রাত সাড়ে বারোটা-একটা নাগাদ নিজের বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েন ওই রোগী। তার পরই শুরু হয় তাণ্ডব।
[আরও পড়ুন: ‘এভাবে উন্নয়ন হয়?’, দিলীপের উলটো পথে হেঁটে খড়গপুরে রেলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন হিরণের]
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের শয্যার পাশে থাকা একটি টুল তুলে নেন ওই রোগী। ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা এমআরআই যন্ত্র-সহ একাধিক যন্ত্রাংশে ভাঙচুর করেন তিনি। তাঁর ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকেরা। লুকিয়ে লুকিয়ে গোটা ঘটনার ভিডিও তোলেন কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালান রোগী। উপস্থিত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর হাতে রীতিমতো মার খেতে হয় তাঁদের। শেষে ভয়ে পাশের ঘরে লুকিয়ে পড়েন তাঁরা। পরে খবর যায় হাসপাতালের সুপারের কাছে। খবর পায় পুলিশ। শেষে হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশ ক্যাম্প থেকে কর্মীরা গিয়ে রোগীকে শান্ত করেন। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে বলে দাবি হাসপাতালের সুপার ধীরজ রায়ের। কবে কী কী ক্ষতি হয়েছে বা কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকা পাঠানো হবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
কিন্তু কেন এমন করলেন ওই রোগী? চিকিৎসকরা বলছেন, ওই রোগীর শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রার তারতম্য হয়েছিল। তার জেরেই মানসিক বিকৃতি ঘটেছিল তাঁর। তবে এটা সাময়িক। চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে যাবেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু আরও এক শিশুর, ৫ দিনে জ্বর কাড়ল সাতটি প্রাণ]