সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ফের পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার হামলার বিষয়ে সতর্ক করল অ্যাপল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা মুফতি জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়ে সতর্কবার্তা পেয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন সমৃদ্ধ ভারত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পুষ্পরাজ দেশপাণ্ডেও। ১০ জুলাই পর্যন্ত এই দু’জন মেসেজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর বাইরে আর কেউ এমন মেসেজ পেয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইলতিজা ও পুষ্পরাজ। বিশেষ ‘মার্সিনারি’ অ্যাটাকে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির ডিভাইসেই ‘আক্রমণ' করা হয় বলে জানানো হয়েছে অ্যাপলের তরফে। মার্সিনারি অ্যাটাকে যে কোনও ব্যক্তির ডিভাইসে আসা মেসেজ, ছবি, মাইক্রোফেন এবং ক্যামেরাকে ‘রিয়েল টাইম’ অর্থাৎ যখন যা ঘটছে তখনই তার উপর নজরদারি চালানোর সুযোগ করে দেয়। দাবি করা হচ্ছে, এটি একটি ভাড়াতে স্পাইওয়্যার সংস্থা। এবং বেছে বেছে নির্দিষ্ট ভিভিআইপি ব্যক্তিদের টার্গেট করা হচ্ছে এই মাধ্যমে। ইলতিয়াজ মুফতি এবং দেশপাণ্ডে দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁদের ফোন আপডেট করা রয়েছে। এবং তাঁরা শীঘ্রই ফোন ফরেনসিকে দেবেন বলেও জানিয়েছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘৯০ দিন ভুগতে হয়েছে’, কেজরিকে অন্তর্বর্তী জামিন সুপ্রিম কোর্টের, তবে এখনই নয় জেলমুক্তি]
বেআইনি নজরদারি নিয়ে বিতর্ক অবশ্য এই প্রথমবার নয়, এর আগে ২০১৯ সালে এই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি সফটওয়্যার পেগাসাসকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সাংবাদিক এমনকী বিচারপতিদের ফোনেও নজরদারি চালানো হয়। বিতর্ক চরম আকার নিতেই ইজরায়েল সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিরাপত্তার জন্য নজরদারি চালানোর প্রযুক্তি এই সফটওয়্যার। তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে।
[আরও পড়ুন: সোহমের চড় কাণ্ডে টেকনো সিটি থানার IC-কে শোকজ]
প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে মোদি সরকার জানিয়েছিল, ব্যক্তি পরিসরের মৌলিক অধিকারের প্রতি সরকার দায়বদ্ধ। নির্দিষ্ট কারও উপরে সরকারি নজরদারির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি লাগে। আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়। এই বিতর্কের মাঝেই এবার পেগাসাসের মতো আরও এক সফটওয়্যারের সতর্কবার্তায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে।