নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ফোনে আড়ি পাতা সংক্রান্ত ‘পেগাসাস’ ইস্যুতে মঙ্গলবারও উত্তাল সংসদের অধিবেশন। শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। লোকসভাতেও বিরোধীদের হইহট্টগোলের জেরে বারবার ব্যাহত হয় আলোচনা। পেগাসাস (Project Pegasus) নিয়ে আলোচনা চেয়ে সংসদের দুই কক্ষে নোটিস দেয় তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ-সহ বিরোধী দলগুলি। পরে অবশ্য সংসদের বাইরে এর প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের (TMC) সাংসদরা। সোমবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেল চড়ে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তাঁরা। আর আজ হাতিয়ার ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড। চলতি বাদল অধিবেশনে সংসদে বিরোধিতার সবরকম ইস্যু নিয়ে তৃণমূল যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তা এখনই স্পষ্ট।
রবিবারই প্রকাশ্যে এসেছে ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাসের মাধ্যমে দেশের বিশিষ্টজনদের ফোন ট্যাপিংয়ের (Phone tapping) বিষয়টি। দেশের মন্ত্রী, বিচারপতি, সাংবাদিক – কেউ এর আওতার বাইরে নেই। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। শাসক-বিরোধী একে অপরের প্রতি এ নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু করেছে। যাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোররও (Prashant Kishor)। ফলে তার প্রতিবাদে তৃণমূল যে দিল্লির মাটিতে সুর চড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে হেফাজতে পেতে চলেছে ভারত]
মঙ্গলবার থেকেই দেখা গেল সেই প্রতিবাদের আঁচ। সংসদের দুই কক্ষে পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দেন তৃণমূল সাংসদরা। তারপর বাইরে বেরিয়ে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেনরা। প্রত্যেকের হাতে পোস্টার। কোথাও লেখা – MODI’র অর্থ Master of Digital Invasion, কোনও পোস্টারে লেখা – Big Brother is Watchdog – এ ধরনের কড়া বার্তা। দলের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে এই যে নয়া ইস্যু হাতে এল, সেই অস্ত্রে আরও শান দেবে তৃণমূল।