সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী জাঁকিয়ে বসেছে বিশ্বে। বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, আগামী কয়েক দশক এই নিয়েই চলতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক (Vaccine) বাজারে আনার কাজ চলছে ঠিকই, তবে তা দিয়ে বিশ্ববাসীকে কতটা রক্ষা করা যাবে, সেই ভাবনা আছে। এরই মধ্যে চিন স্বভাবসুলভ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ফের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসল। রাজধানী বেজিংয়ে এবার থেকে আর মাস্ক বাধ্যতামূলক নয় বলে ঘোষণা করল দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বছরের শুরুতে এই দেশেই প্রথম থাবা বসিয়েছিল মারণ নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। ইউহান শহর থেকে ধীরে ধীরে তা গ্রাস করেছিল দেশের অন্যপ্রান্তে রাজধানী শহর বেজিংকেও। লকডাউনের মুখে পড়ে জমজমাট বেজিং যেন নিমেষে জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। মাস পাঁচেকের ধাক্কা সামলে ফের ছন্দে ফিরছে বিশ্বের জনবহুল দেশটি। বিপদ বিদায় নিয়েছে, ভাবামাত্রই অবশ্য ফের করোনা থাবা বসিয়েছিল চিনের ইতিউতি। তাই ফের ঘোরাফেরায় লাগাম পরেছিল। কিন্তু জুলাই থেকে সেখানকার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় খুলে দেওয়া হয় সিনেমা হল। দেদার পার্টি, মিউজিক ফেস্টিভ্যালে মেতে ওঠেন মানুষজন।
[আরও পড়ুন: খাবার নেই, পেটের জ্বালায় ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ পাকিস্তানি হিন্দুদের]
তবে কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে পথেঘাটা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল। যদিও বিভিন্ন পার্টিতে যুবক-যুবতীদের মাস্ক ছাড়াই হুল্লোড় করতে দেখা গিয়েছে। এবার অবশ্য মাস্কের বাধ্যতাও ঘুচল। বেজিংয়ে (Beijing) আর মাস্ক পরে রাস্তায় বেরতে হবে না বলে ঘোষণা করে দিল চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গত দু’সপ্তাহে নতুন করে কেউ করোনায় সংক্রমিত হননি। চিনের মূল ভূখণ্ডে গত ৫ দিনের সংক্রমণের কোনও খবর নেই। তাই সাহস করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং সরকার। তবে প্রশাসন মাস্কের বাধ্যতা থেকে বেরিয়ে এলেও, ততটা সাহসী হননি বেজিংবাসী। এক বাসিন্দার কথায়, ”সবাই মাস্ক ছাড়তে রাজি কি না, বুঝতে হবে। কেউ একজন মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরলে, তাঁকে নিয়ে অন্যদের আশঙ্কা হতে পারে।” তাই বেজিংবাসীকে এখনই হয়ত মাস্কহীন অবস্থায় দেখা যাবে না। চিনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। চিন কি করোনার ধাক্কা ভুলে গেল? উঠছে এই প্রশ্নও।
[আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা, হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি বাতিল করল আমেরিকা]
The post করোনায় ভয় নেই আর, বেজিংয়ের রাস্তায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়! জানাল চিন appeared first on Sangbad Pratidin.