অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ভাগীরথী নদীর পাড় ভাঙনে আতঙ্ক ছড়াল কালনায় (Kalna)। রাতের ঘুম উড়ল এলাকাবাসীর। যদিও আগেই পরিস্থিতি দেখে ভাগীরথীর পাড় ভাঙার আশঙ্কায় আগেই সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক (SDO) শুভম আগরওয়াল, বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ-সহ কালনা পুরসভার কর্তারা। মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে আসার কথা সেচ দপ্তরের কর্তাদের। ভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল।
কালনা শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। তাই নদীর (River bank) পাড় ভাঙন নতুন কিছু নয়। এই ভাঙন রোধে প্রশাসনও বেশ তৎপর। সোমবার সন্ধে থেকে কালনা শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের ভাগীরথী নদীর পাড় ধরে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীপাড় থেকে মাটি ভেঙে পড়ার শব্দে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সোমবার রাতে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন কালনা মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল। রাতেই নজরদারি রাখতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। মহকুমাশাসক বলেন, “নদীর পাড় ভাঙন রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেচ দপ্তর (Irrigation department) বিষয়টি দেখছে।”
[আরও পড়ুন: অভিনেত্রী থেকে প্রশাসনিক ‘কর্ত্রী’! চা বলয়ে আদিবাসী ভোট টানতে তৃণমূলের তুরুপের তাস রোমা]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কারও কারও বাড়ির পাশ বরাবর পাড়ের এলাকায় ভাঙন ধরেছে। আসলে কেউ বুঝতে পারেননি যে অল্প সময়ের মধ্যে ভাঙন এতটা বেড়ে যাবে। ফলে এখন নিজেদের বাড়ি ভাগীরথীর কবলে তলিয়ে যাবে কিনা, সেই আশঙ্কায় কাঁপছেন তাঁরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফেও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরক্ষার স্বার্থে ভাঙন কবলিত এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে এত সাবধানতা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর।