সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শুরু কাউন্টডাউন! বাংলায় প্রথম নাইট ম্যারাথন শুরু হতে যে আর মাত্র কয়েকঘন্টা। সেজে উঠেছে সমগ্র অযোধ্যা পাহাড়। শনিবার রাতে অযোধ্যা হিলটপের যে মাঠ থেকে নাইট ম্যারাথনের সূচনা হবে সেই এলাকা-সহ মিডিল পয়েন্ট আপার ড্যাম একেবারে আলোকমালায় ঝলমল করছে! আলপনায় লেখা হয়েছে ১৪ কিমি নাইট ম্যারাধনের কথা। নাইট ম্যারাথনের ঘোষণা হতেই সাফল্যের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন টলিউডের শিল্পীরা। এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ভিডিও বার্তায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে অযোধ্যা পাহাড়ে নাইট ম্যারাথনের কথা তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, "অযোধ্যা হিল নাইট ম্যারাথন পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই প্রথম।"

পুরুলিয়া জেলা পুলিশের নাইট ম্যারাথনের প্রস্ততি শেষ। ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
ডিজির ওই বার্তায় প্রতিফলিত হয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ের এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের কাহিনীর। একদা মাওবাদী ডেরা অযোধ্যা পাহাড় আজ সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রথম সারির পর্যটন কেন্দ্র। ডিজি ওই বার্তায় গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সেসব বীর শহিদদের। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অযোধ্যা পাহাড় তথা জঙ্গলমহলকে নকশাল মুক্ত করা গিয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্যরের ওই অনুপ্রেরণামূলক বার্তা আমাদের সকলকে উজ্জীবিত করে এই নাইট ম্যারাথনকে সফল করবে।"
আলোকমালায় সেজে উঠেছে পুরুলিয়ার আপার ড্যাম। ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
এদিকে অযোধ্যা পাহাড় আদিবাসী উন্নয়ন কমিটি এই নাইট ম্যারাথনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই সঙ্গে আরও উন্নয়নের দাবিতে অযোধ্যা পাহাড়ের সাপারমবেড়া, রাঙা, বাড়েলহর, টারপানিয়া, হাতিনাদা-সহ বিভিন্ন গ্রামের ৩ হাজার মানুষ তাদের গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্র শুক্রবার বিকালে জেলাশাসকের কাছে জমা করেন।
দুদিন আগেই এই ম্যারাথনের লোগো, জার্সি, থিম সং-এর সূচনা হয়ে গিয়েছে। এই ম্যারাথনকে ঘিরে অযোধ্যা পাহাড়ে এখন ঠাসা পর্যটক। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এই ম্যারাথনের সাক্ষী হতে হোটেল, লজ, কটেজ, রিসর্ট - সব হাউসফুল। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নাইট ম্যারাথনে অংশ নিতে এক হাজারের বেশি নাম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদরাও। এই ম্যারাথন দেখতে লোকশিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতা, মুম্বইয়ের নামী গায়ক, গায়িকারাও হাজির থাকবেন।