মলয় কুণ্ডু: যাদের থেকে করোনা (Corona Virus) ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি, সেই সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই সুপার স্প্রেডারদের তালিকায় আরও কয়েক ধরনের পেশার মানুষ সংযোজিত হলেন।
রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সুপার স্প্রেডারদের গ্রুপে নিয়ে আসা হয়েছে এমএসএমই শিল্পী, খাদি শিল্পে কর্মরত এবং তাঁত শিল্পীদের। এছাড়াও চালকল, ময়দা কল এবং কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিক ও কর্মীদের এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পে কর্মরতদের টিকাকরণ করবে রাজ্য সরকার। সুপার স্প্রেডারদের তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে পর্যটন ক্ষেত্রের কর্মী, গৃহকর্মে যুক্তদেরও। কেবিল টিভি অপারেটর ও টিভি চ্যানেলের স্টাফদের সুপার স্প্রেডার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই সুপার স্প্রেডারদের চিহ্নিত করে টিকাকরণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। এক্ষেত্রে এমএসএমই, খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ, কৃষি, শিল্প বাণিজ্য, পর্যটন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নোডাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করবে। জেলাগুলিতে টিকাকরণের দায়িত্ব থাকবে জেলাশাসকদের উপর। সেক্ষেত্রে দপ্তরের সচিবদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: মাতৃবিয়োগের পর ফোন তৃণমূল নেতৃত্বের, খোঁজ নেয়নি বিজেপি, ‘অভিমানী’ প্রবীর ঘোষা]
কেন্দ্র যে পরিমাণ টিকা রাজ্যকে দিচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার টাকা দিলেও কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা পাঠাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। যাঁদের প্রতিনিয়ত জনসাধারণের মধ্যে গিয়ে কাজ করতে হয় বা মানুষের কাজ করার জন্য যাঁদের এই পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হচ্ছে, তাঁদের আগে টিকা দেবে রাজ্য। কারণ, এই সুপার স্প্রেডারদের থেকে সংক্রমণ আটকানো গেল করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই সহজ হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির এক্সিকিউটিভ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্যের মানুষকে দুটি ক্ষেত্রে ভাগ করে কাজ করার। প্রথমটি সাধারণ মানুষের জন্য। তাঁদের টিকাকরণের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের হাসপাতাল এবং সিএমওএইচদের। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে রয়েছেন সুপার স্প্রেডার্সরা। এঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। জরুরি পরিষেবা ও পণ্যের সঙ্গে যুক্ত যেমন, রেশন ডিলার, কেরোসিন ও এলপিজি ডিলার, পেট্রোল পাম্পের স্টাফ, পরিবহনকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, মুহুরি, সবজির দোকান, মুদিখানার কর্মী, মাছ বিক্রেতা, বাজারের খুচরো দোকানদার, যৌনকর্মী এবং রূপান্তরকামী, কোভিড ভলান্টিয়ার্স–সহ আরও অনেকে। ইতিমধ্যেই সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণে কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। সেই সুপার স্প্রেডারদের তালিকায় এবার আরও কিছু সংযোজিত করা হল বলে নবান্ন সূত্রে খবর।