দরকার যেমন, জোগান তেমন। এই সারসত্য বাজার অর্থনীতিতেও প্রযোজ্য। ফলে আপনি কেমন গোত্রের ইনভেস্টর, আপনার চাহিদা কী বা কেমন, রিস্ক নিতে আপনি কতটা তৈরি বা তৈরি নয় একেবারেই, এ সবের উপর নির্ভর করেই তৈরি হবে আপনার পোর্টফোলিও। সেই বিভাজন মাথায় রেখে এগোনোর উপায় বাতলে দিলেন নীলাঞ্জন দে

ইক্যুইটির বাজার নড়বড়ে, মূল সূচকগুলো তাদের শেষ “হাই” থেকে অনেকটাই পড়েছে। রেট-কাট হওয়ার পর ডেটের বাজারও তেমন ভরসা নতুন করে দিতে পারছে না। ইনভেস্টররা বরং বিশ্বাস রাখছেন গোল্ডে, যেখানে দাম বেড়েই চলেছে। এমত অবস্থায় কীভাবে নতুন অ্যালোকেশন হবে, ভাগাভাগি করবেনই বা কি করে? আজ আলোচনার বিষয়বস্তু দুই ধরনের লগ্নিকারী– তর্কের খাতিরে ইনভেস্টর ‘ক’ এবং ইনভেস্টর ‘খ’ বলে চিহ্নিত করছি তাঁদের। প্রথমজন কনজারভেটিভ, অর্থাৎ বেশি রিস্ক নেওয়ার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয়জন তুলনায় বেশি আগ্রাসী ঝুঁকি নেওয়ার প্রসঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোনও পক্ষপাত ছাড়া এঁদের জন্য দুটি বিশেষ কৌশলের আলোচনা করছি।
ইনভেস্টর - ক
১। ক্যাপিটাল প্রোটেকশন হলে ভালো হয়
২। স্টেডি রিটার্ন প্রয়োজন
৩। জানা পরিধির মধ্যে বিচরণ করতে চান
ইনভেস্টর -খ
১। অজানার খোঁজে যেতে রাজি
২। গ্রোথ চাই, সরাসরি স্টকে অথবা কমোডিটিতে বিনিয়োগ করেন
কোন কৌশল মেনে চলতে হবে?
অনেকেই বলেন এককালীন লগ্নির সঙ্গে সঙ্গে সিপও করা আরম্ভ করতে। এঁদের একাংশ আবার বিশেষভাবে বলেন করা পর্যবেক্ষণ করার কথা – অর্থাৎ লগ্নি করার পর উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে কি না তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে।
সঞ্চয়-এর সংযোজন: বলাই বাহুল্য, আমাদের কোনও বিশেষ ফান্ডের প্রতি পক্ষপাত নেই। কোনও ধরনের রেকোমেন্ডশনও করি না আমরা, বরং লগ্নিকারীদের সবসময় উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথাই বলে থাকি। এখানেও তার ব্যতিক্রম করছি না আমরা। প্রতিবারের মতো আপনি নিজের রিস্ক প্রোফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে ফান্ড বেছে নেবেন, এমনই আমরা জানিয়ে রাখছি এবারেও। সামান্য চেষ্টাতেই নিজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারবেন আপনি।