সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্টের খুঁটিনাটি ‘সঞ্চয়’-এর পাতায় ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এবার পালা ‘সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল’ নিয়েও বিস্তারিত জানার। আর্থিক লক্ষ্যপূরণে চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে এই প্রক্রিয়া। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্টের সঙ্গে সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল সম্বন্ধে চর্চার শেষ নেই। দুই কৌশলের সমন্বয় এবং তাদের পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করলে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন লগ্নিকারীরা। এ কথা আজ অনেকেই মানবেন।
নিজের ফিনান্সিয়াল গোলস পূরণ করার জন্য এই দুই স্ট্যাটেজির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ নেই। সিপের মাধ্যমে ক্যাপিটাল ফর্মেশন এবং নিয়মাফিক উইথড্রয়াল ব্যবহার করে নিজের ইনকাম ফ্লো নিশ্চিত করা – এই জোড়া কৌশল নিয়ে আজকের আলোচনা।
সঙ্গের চার্টের দিকে চোখ ফেরান।
এখানে উইথড্রয়ালের অঙ্কটি “ডিফল্ট” হিসাবে ধরা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্টভাবে যদি বিনিয়োগকারী কোন পরিমানের কথা বলেন, তাহলে সেই চাহিদাকে মান্য দিতে হবে। তাহলে উইথড্রয়ালের হিসাব অন্যরকম হবে, খেয়াল রাখুন। এই চার্টটি তাই কেবল “ইলাস্ট্রেশন” হিসাবে দেখতে হবে। এছাড়াও মনে রাখা দরকার যে মার্কেটে কোনও প্রকার গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়। এবং কোনও পোর্টফোলিও ম্যানেজার এই ব্যাপারে নিশ্চয়তাও দেন না। দীর্ঘ বা মধ্যমেয়াদী প্রক্রিয়াটি সঙ্গের ফ্লোচার্টের মাধ্যমে দেখানো হল।
সিপের পরিমাণ: ১০,০০০ টাকা (প্রতি মাসে)
কয়েকটি জরুরি তথ্য
ক। দীর্ঘমেয়াদী হিসাবে যদি ইক্যুইটি ফান্ডে সিপ করেন, তাহলে ভাল গ্রোথ হওয়া সম্ভব। ডাইভারসিফায়েড ফান্ডে লগ্নি করুন।
খ। সিপের মাধ্যমে অনুশাসন মেনে (প্ল্যান মাফিক) লগ্নিতে আপনার সহায়ক হবে “Rupee Cost Averaging”। এই প্রসঙ্গে জেনে নিন।
গ। ক্যাপিটাল ফর্মেশন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। তাহলে আপনার কর্পাস যথেষ্ট পরিমাণে জমবে, উইথড্রয়ালের প্রক্রিয়া শুরু হলেও অসুবিধা হবে না।
SWP নিয়ে জরুরি প্রশ্ন
(১) উইথড্রয়ালের “ফ্রিকোয়েন্সি” কেমন? মানে কত দিন অন্তর টাকা নেবেন? মাসে? কোয়ার্টারে? এই নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
(২) কত ইউনিট বিক্রি করে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা হাতে আসবে, তা নির্ভর করবে ইউনিটের দামের উপর। তাই ঠিক কবে SWPজনিত টাকা পাচ্ছেন, তা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।
(৩) ফান্ডের ক্ষেত্রে অনেক সময় Exit Load থাকে। রিডিম করার জন্য এই প্রসঙ্গটি বুঝতে হবে।
এসডব্লুপি (সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান)
১। সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে হাতে টাকা আসবে লগ্নিকারীর।
২। ফান্ডের কর্পাস ব্যবহার করুন, SWP চালু করুন যথা সময়ে যাতে রেগুলার ইনকাম হাতে আসে।
৩। তবে ইউনিট বেচতে
হবে (রিডিম করতে হবে)।
৪। এখানেও রুপি কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের উপযোগিতা থাকবে
৫। ট্যাক্স এফিশিয়েন্সিও থাকবে, লংটার্ম ক্যাপিটাল গেনেস ট্যাক্স নিয়ে জেনে নিতে হবে।
৬। প্রয়োজনে SWP-র পরিমাণ কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে তবে প্ল্যান মাফিক করতে হবে তা।
