বাজার গতিশীল। তাই পিএসইউ অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর গ্রোথের সুযোগ যথেষ্টই আছে। বাজার-বিশেষজ্ঞরাই বলছেন এই কথা। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে লগ্নির আগে কোন কোন দিকে মনোযোগী হতে হবে, কোন স্টকগুলোর দিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর, বিস্তারিত জানালেন লগ্নি পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণা, বড় মাপের ডিভিডেন্ড পাবে ভারত সরকার। সঙ্গে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে রিফর্ম, যার ভিত্তিতে প্লেয়ারগুলোর ব্যবসা জোরদার হয়েছে। সর্বোপরি গ্রাহকদের চাহিদা বাড়ায়, রোজগার উন্নত মানের। সব মিলিয়ে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে একাধিক ইতিবাচক ট্রেন্ড। বেড়েছে একগুচ্ছ ব্যাঙ্কিং স্টক, যেগুলোর মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে একাধিক পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক। দাম বেড়েছে সেগুলোর আর নতুন টাকা লগ্নি হওয়ারও ইঙ্গিত এসেছে। ‘সঞ্চয়’-এর বিশেষ আলোচনা আজ এরই পরিপ্রেক্ষিতে।
প্রথমে চোখ রাখা যাক বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং সূচকগুলোর পরিস্থিতির উপর-
১. Nifty Bank
২. Nifty PSU Bank
৩. Nifty Financial Services
তিনটিই বেড়েছে, যদিও রিটার্নে পার্থক্য আছে।
এখানে Nifty PSU Bank সূচকটির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। তবে ঘটনাচক্রে অন্য দুই ইনডেক্সও বেড়েছে সম্প্রতি। Nifty PSU Bank-এর বিষয়ে যে তথ্যগুলো সামনে আসছে, সেই তালিকা দেখুন।
১. গত এক বছরের রিটার্ন : ৮২.৪৯%
২. গত পাঁচ বছরের রিটার্ন : ২০.০০%
৩. সব থেকে বড় পাঁচটি স্টক :
SBI, Bank of Boroda, Punjab National Bank, Canara Bank, Union Bank of India.
এখানে বলা উচিত যে Nifty Private Bank সূচক কিন্তু আদৌ বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কারণগুলো PSU-র ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে সেগুলির পুরোভাগে আছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিভিডেন্ড। মোট দুই ট্রিলিয়ন টাকার বেশি এই ডিভিডেন্ডের পরিমাণ, যা ২০২৩-২৪ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ইনডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক ইত্যাদি স্টক এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভাল রকম বেড়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘ছোট’ নয় ছোটরা, স্টক মার্কেটে স্মল ক্যাপের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল]
তার মানে বাজারে যথেষ্ট মোমেন্টাম থাকার কারণে পিএসইউ ব্যাঙ্কগুলোর সামনে নতুন সুযোগ। এমনই বলছেন বিভিন্ন ব্রোকিং সংস্থার অ্যানালিস্টরা। তাঁদের অনেকেই উদাহরণ দিচ্ছেন কানাড়া ব্যাঙ্কের।
আমরা আজ সংক্ষেপে কানাড়া ব্যাঙ্ক স্টকটি নিয়ে আলোচনা করব। অবশ্য এখানে আমাদের কোনও ধরনের পক্ষপাতিত্ব নেই। সামান্য দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখুন, বেচাকেনার সিদ্ধান্ত নিতে হলে ব্রোকারদের সঙ্গে কথা বলুন বা পেশাদার অ্যাডভাইসরের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
১.গত এক বছরে লগ্নিকারীরা প্রায় ৯০% রিটার্ন পেয়েছেন এই স্টকে। কারেন্ট ইয়ারে ইতিমধ্যে ৩০% দাম বেড়েছে।
২.গত ২৭ শে মে’র ট্রেডিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্টকের দাম ছিল ১১৭.১০ টাকা (ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে)। কানাড়া ব্যাঙ্কের মোট মার্কেট ক্যাপ ১,০৬,২১৭ কোটি টাকা। শেয়ারের ফেস ভ্যালু এখন ২ টাকা।
৩.৫২-সপ্তাহের হাই এবং লো যথাক্রমে ১২৬.৫৮ টাকা এবং ৫৮.৩৩ টাকা।
এখানে উদাহরণ হিসাবে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের লগ্নি করেন, এমন ফান্ড ম্যানেজার কী করছেন তা দেখে নেওয়া যাক। Tata Banking & Financial Services Fund আজ আমাদের সামনে আছে। ফান্ডের মোট অ্যাসেটের পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকার বেশি। নির্দিষ্ট সেক্টরে (ডাইভারসিফাই করা অবশ্যই দরকার, জেনে রাখুন) দীর্ঘ মেয়াদী গ্রোথের খোঁজে থাকেন পরিচালকরা। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কে লগ্নির তালিকায় আছে স্টেট ব্যাঙ্ক। এছাড়াও বিভিন্ন ফিনান্স কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে – PNB Housing এবং SBI Cards & Payments Services সম্বন্ধে বলা যেতে পারে। অবশ্য পোর্টফোলিওতে নানা ধরনের বেসরকারি সংস্থার শেয়ারও মজুদ। চার্টে আছে সাম্প্রতিক রিটার্নের পরিসংখ্যান।