জীবনবিমার গুরুত্ব নিয়ে বিশ্লেষণের পর এবার আলোচনার বিষয় ‘বিমা ট্রিনিটি’। কীভাবে উপভোক্তারা এর পূর্ণ সুবিধা তুলতে পারবেন এবং তার জন্য কী কী দিকে খেয়াল না দিলেই নয়। যাবতীয় তথ্য সংকলনে ইএসজি সার্টিফায়েড কর্পোরেট গর্ভন্যান্স প্রোফেশনাল অরূপ দাশগুপ্ত।
এর আগে জীবন বিমার প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিমার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাচ্ছি। নতুন এক ধারণা, বিমা ট্রিনিটি, নিয়ে এসেছে নিয়ন্ত্রক। বিমা সুগম, বিমা বাহক এবং বিমা বিস্তার–এই ত্রয়ীর সাহায্য নেওয়া হবে এই ক্ষেত্রে।
১. বিমা বাহক : মহিলা-কেন্দ্রিক ইনসিওরেন্স ডিসট্রিবিউশন চ্যানেল।
২. বিমা বিস্তার : স্বল্প খরচে কমপ্রিহেনসিভ ইনসিওরেন্স পলিসি পাওয়া যাবে, প্রপার্টি এবং হেলথ ইনসিওরেন্স সহ।
৩. বিমা সুগম : বিভিন্ন প্ল্যান কেনার জন্য এক ডিজিটাল পরিষেবা, ‘পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ হিসাবে গণ্য হবে। গ্রাহকরা পলিসি কিনতে পারবেন এখানে, এবং ক্লেমও দাখিল করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: ঝুঁকি কমায়, সমতা আনে ব্যালান্সড কৌশল, ফান্ড সম্পর্ককে জানুন বিস্তারিত]
এখানে বলে রাখা উচিত যে ‘ই-ইনসিওরেন্স অ্যাকাউন্ট’ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। নতুন পলিসি হোল্ডার (এবং ডিজিটাল রেকর্ডও) তাঁর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন এর মাধ্যমে। তাঁর তথ্য রাখা যাবে বিভিন্ন রিপোজেটরি’র কাছে। CAMS বা NSDL-এর কথা এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। গ্রাহক তাঁর লাইফ, হেলথ বা অন্য পলিসি এখানে দেখতে পারবেন, ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমার মতে এমন সুযোগ আগামিদিনের গ্রাহকরা সদ্ব্যবহার করতে পারবেন ভালোভাবে।
এক, তাঁদের পলিসি এক জায়গায় থাকবে ‘ডিম্যাট’ হয়ে ; সব পলিসি একত্রে পাওয়ার বিলক্ষণ সুবিধা আছে। দুই, তথ্য সুরক্ষার দিকে নজর রাখা যাবে একই সঙ্গে। এযুগে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। তিন, যে কোনও একটি পলিসিতে কোনও জরুরি তথ্য যদি আপডেট করেন গ্রাহক, তাহলে অন্যগুলোতেও সেই নতুন তথ্য প্রতিফলিত হবে। রিনিউয়াল, নমিনেশনে বদল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সুযোগ পাওয়া কাম্য।
পরিশেষে বলি, রুরাল এবং সোশাল সেক্টরগুলোর জন্য নতুন সুযোগ এনে দেওয়ার পক্ষপাতী আমরা সকলেই। গ্রামীণ ক্ষেত্রে যা দরকার, তা যেন দ্রুত পাওয়া যায়, যথাসম্ভব স্বল্প খরচে তা দিতে সক্ষম হন বিমা সংস্থা। সব মিলিয়ে, বিমা নিয়ন্ত্রকের দায়দায়িত্ব অনেক, তাই নতুন মাধ্যম বা নয়া বিকল্প সব সময়ই স্বাগত। ভবিষ্যতে যাতে বিমার সদর্থক বার্তা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেই ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে সবথেকে।