সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রার সময়ে সমস্ত মাংসের দোকান খোলা রাখতে হবে। এই দাবিতে এবার মামলা দায়ের হল এলাহাবাদ হাই কোর্টে। দিনকয়েক আগেই বারাণসী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে নোটিস দিয়ে জানানো হয়, শ্রাবণ মাসে যাত্রা চলাকালীন কানোয়ার যাত্রার রুটের সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ন্যাশনাল লোকতান্ত্রিক পার্টি।
উত্তরপ্রদেশের ওই রাজনৈতিক দলটির দাবি, কানোয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra) সংক্রান্ত এই নির্দেশ অসাংবিধানিক। কারণ সংবিধানের ১৯(১)(জি) অনুচ্ছেদে যে কোনও পেশা বা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই নির্দেশে ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত মর্যাদা ও স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচার মৌলিক অধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে। এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court) দায়ের হওয়া পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, কানোয়ার যাত্রা বহু প্রাচীন একটি প্রথা। প্রত্যেক বছর শ্রাবণ মাসের শুরুতে এই যাত্রায় পায়ে হেঁটে জল নিয়ে হেঁটে যান তীর্থযাত্রীরা। কিন্তু ইতিহাসে কখনোই কানোয়ার যাত্রার সময় মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হত না।
[আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও গরহাজির, ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ‘ট্রেনি’ IAS পূজা!]
উল্লেখ্য, কানোয়ার যাত্রা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে কানোয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra)। তার আগে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand)। এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কানোয়ার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলোকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। চারদিন পরে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কানোয়ার নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল বেশ কয়েকটি পিটিশন। আবেদনকারীদের তালিকায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।