সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণের জ্বরের মতোই করোনার (Coronavirus) জন্য ওষুধ থাকা দরকার। সে কারণে ফাইজার (Pfizer) ও মার্কের মতো সংস্থা করোনার ওষুধ তৈরিতে গবেষণা শুরু করে। যাতে করোনায় হাসপাতালে ভরতির আশঙ্কা কমে। বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। নতুন গবেষণায় জানা গেল, করোনার তীব্র সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯০ শতাংশ কমায় ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাস পিল। এছাড়াও, এটি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে মঙ্গলবার মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজারের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ফাইজারের কাছে এই পিলের বরাত দিয়েছে তাঁর প্রশাসন। আপাতত ১ কোটি মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহার করার জন্য ওই বরাত দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:ফের সলমনের পরিবারে করোনার থাবা, করিনাদের সঙ্গে পার্টির পরই আক্রান্ত সোহেলের স্ত্রী]
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনকে জব্দ করতে পারে ব্রিটেনের ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের অ্যান্টিবডি ড্রাগ সোট্রভিম্যাবও। ব্রিটেনের সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনের ড্রাগ রেগুলেটারি অথোরিটি এই নতুন ড্রাগকে ছাড়পত্র দিয়েছে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভিড সারাতে ভাল ফল মিলেছে। তার থেকেও চমকপ্রদ ঘটনা, ওমিক্রনেও কাজ করছে এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ।
ফাইজার জানিয়েছে, তারা প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষের উপর কোভিডের ওষুধের ট্রায়াল চালিয়েছিল। ওই ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী ফলাফলে দেখা গেছে তাদের উৎপাদিত পিলটি করোনার তীব্র সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমায়। মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, নতুন ট্রায়ালে আরও এক হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণায় যাঁদের প্লাসিবো দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। আরও জানা গিয়েছে, করোনার লক্ষণ স্পষ্ট হওয়ার পর পরপর প্রতি ১২ ঘণ্টা অন্তর ফাইজারের কোভিড অ্যান্টিভাইরাস পিল রিটোনাভির দেওয়া হয়। পাঁচ দিন ধরে ওষুধটি খেতে হবে। অনুমোদন পেলে রিটোনাভিরের নাম বদলে প্যাক্সলোভিড রাখা হবে।