Advertisement
ডাউকির 'আয়না'য় মুখ দেখা যাচ্ছে না আর! দূষণের কবলে এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ নদী
দেখে নিন মেঘালয়ের এই নদীর মন ভোলানো ছবি।
রাজনীতিই হোক কিংবা উন্নয়নের আলো, চিরকাল ব্রাত্য থেকে গিয়েছে এদেশের 'সাত বোনের রাজ্য'। অথচ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই সাত রাজ্যের রমণীয়-কমনীয় রূপ দেখে ক্ষণিকের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেননি, এমন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ বোধহয় খুব কম। বলা হচ্ছে উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য মেঘালয়ের কথা। এশিয়ার স্বচ্ছতম গ্রাম, স্বচ্ছতম নদীর তকমা যার হাতের মুঠোয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সেই মনোমোহিনী রূপ। দূষণের কবলে পড়ে আয়নাসম নদীর জল এখন ঘোলাটে।
উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য মেঘালয় মূলত বিখ্যাত কবিগুরু বর্ণিত 'শেষের কবিতা'র শিলংয়ের জন্য। 'মেঘের বাড়ি' বা মেঘালয় নাম তার সার্থক! সত্যিই 'এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে'। পাহাড়ি পথ ধরে দু-এক পা এগোলেই দেখবেন, আপাদমস্তক মেঘে ঢাকা। কিন্তু শুধু শিলংই নয়, এ রাজ্যের আরও অনেক জায়গাই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। তারই একটা ডাউকি নদী, আসল নাম উমনগোট। পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের গা বেয়ে সোজা বয়ে গিয়েছে নদীটি। বিশেষত্ব বলতে এখানকার স্বচ্ছ টলটলে কাচের মতো জল। যাতে উঁকি দিলে মুখ দেখা যায় স্পষ্ট!
মেঘালয়ে ঘুরতে গেলে ডাউকি পর্যটন মাস্ট! উঁচু পাহাড়ি রাস্তা থেকে নদীর বুকে নামলেই পরিবেশ বদল। একটা ডিঙিনৌকো নিয়ে নদীবক্ষে ভ্রমণে যেন স্বর্গীয় আনন্দ। পর্যটকদের কাছে ডাউকির হাতছানি মানেই অন্য ভুবনের টান। জল যেন আয়না! জলের স্তর ভেদ করে নিচের জল-জগৎ স্পষ্ট দেখা যায়।
নীলচে-সবুজ স্বচ্ছ জলে চড়ে বেড়াচ্ছে কতশত নাম না জানা প্রাণী, উঁকি দিচ্ছে অচেনা সব উদ্ভিদের শরীর। তাই তো দিনভর ডাউকির বুকে অসংখ্য পর্যটকদের নৌকো ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যা নামলেই যে তীব্র শীত আর কুয়াশা ঘিরে ধরে ডাউকির আশপাশ।
কবি শঙ্খ ঘোষ কবে আক্ষেপ করে গিয়েছেন - 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে' লিখে। ডাউকির জল নিয়েও এখন তেমন বলা যায় - মুখ ঢেকে যায় দূষণে! এ নদীর জলে বুঝি আর মুখ দেখা যাচ্ছে না। আয়নায় বহু দাগ! স্বচ্ছ জল দূষণের কোপে এখন ঘোলাটে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 08:52 PM Nov 09, 2025Updated: 08:52 PM Nov 09, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
