Advertisement
মারাত্মক চোটে কাবু শ্রেয়স, আগে মাঠের আঘাতে শেষ হয়েছে কোন ক্রিকেটারদের কেরিয়ার?
ক্রিকেট মাঠে আঘাত পেয়ে প্রাণও হারিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
২০১৪ সালে মাঠের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল গোটা ক্রিকেটদুনিয়া। অজি পেসার শন অ্যাবটের বাউন্সার আছড়ে পড়ে অস্ট্রেলীয় ব্যাটার ফিল হিউজের ঘাড়ে। অজ্ঞান হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মাথার মধ্যেই প্রবল রক্তক্ষরণ হয়। দু'দিন ধরে কোমায় থাকার পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ক্রিকেট মাঠে চোট পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বার। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে ফিল্ডিং করার সময়ে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। প্রাথমিকভাবে চোট নিয়ে সেরকম উদ্বেগ না থাকলেও লাম্বার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কোমায় গিয়ে মৃত্যু হয় লাম্বার।
খেলার মাঠে চোট পেয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল নরি কন্ট্রাকটরের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার গ্রিফিথের বল তাঁর মাথায় লাগে। মাথার খুলি ফেটে যায় ভারতীয় ক্রিকেটারের। দুর্ঘটনার ৬০ বছর পরে নতুন করে তাঁর মাথায় ধাতব প্লেট বসানো হয়। চোট পাওয়ার পরে আর কোনও দিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
২০০০ সালে এশিয়া কাপ চলাকালীন মারাত্মক আঘাত লাগে সাবা করিমের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন অনিল কুম্বলের বল ব্যাটারের প্যাডে লেগে আছড়ে পড়ে সাবার ডান চোখে। জটিল অস্ত্রোপচার করে তাঁর চোখ বাঁচানো গেলেও দৃষ্টিশক্তি প্রায় হারাতে বসেন সাবা। শেষ হয়ে যায় তাঁর কেরিয়ার।
একই দশা হয় মার্ক বাউচারেরও। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডে সফরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একটি ম্যাচে ইমরান তাহিরের বল স্টাম্পে লাগে। সেই স্টাম্প থেকে বেল ছিটকে এসে লাগে বাউচারের বাঁ চোখে। চোখের মণিতে জটিল অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এই আঘাতের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন প্রোটিয়া উইকেটকিপার।
ইংল্যান্ডের প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার ক্রেগ কিসওয়েটারও মাঠেই গুরুতর আহত হন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে হেলমেটের গ্রিলের মধ্যে দিয়ে বল ঢুকে তাঁর নাক এবং চোয়াল ভেঙে যায়। চিকিৎসার পরে তিনি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। কিন্তু দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হওয়ায় মাত্র ২৭ বছর বয়সে অবসর নেন।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 04:42 PM Oct 28, 2025Updated: 04:42 PM Oct 28, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
