Advertisement
শরীরচর্চায় বছরে খরচ ১০ লক্ষ ডলার, রোনাল্ডোর ফিটনেসের ৭ গোপন মন্ত্র ফাঁস
কী সেই ফিটনেস রহস্য?
তাঁর বয়স এখন ৪০। আগামী বছর বিশ্বকাপের সময় বয়স হবে ৪১। এই বয়েসে বুটজোড়া তুলে রেখে অবসরে যান বেশিরভাগ ফুটবলার। কিন্তু তিনি ব্যতিক্রম। তিনি এখনও দৌড়চ্ছেন ১০০০ গোলের লক্ষ্যে। তাই তো তিনি মহাতারকা। অগণিত অনুরাগীর আইকন। তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
সিআর সেভেনের এই তারুণ্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে তাঁর ফিটনেসে। বয়েসের ছাপ রোনাল্ডোর শরীরে এখনও দাঁত কাটতে পারেনি। স্বাস্থ্য সচেতন পর্তুগিজ মহাতারকা বছরে দশ লক্ষ ডলার খরচ করেন নিজের শরীরচর্চার জন্য। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন যতই ঈর্ষণীয় হোক, নিজেকে ফিট রাখতে রোনাল্ডোর সংযমও শিক্ষণীয়। কী সেই ফিটনেসের রহস্য?
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এই বয়সেও নিজের বেস্ট পারফ্যান্স দেওয়ার জন্য যে জীবনযাত্রা অনুসরণ করেন, তা পেশাদার ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বিরল। ঠিক কোন নিয়মে নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
টানা ৮ ঘন্টার ঘুমের পরিবর্তে রোনাল্ডো একটি বিশেষ 'পলিফেজিক স্লিপ রুটিন' মেনে চলেন। দিনে মোট ৬ ঘণ্টা ঘুমের জন্য পাঁচটি ৯০ মিনিটের ন্যাপস-এ ভাগ করে নেওয়া হয় মোট সময়কে। এটি শরীরের সার্কাডিয়ান রিদম ও স্বাভাবিক স্লিপ সাইকেলকে সক্রিয় রাখে। পেশির পুনরুদ্ধার এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর এই পদ্ধতি।
রোনাল্ডো শরীরচর্চার সময় নিয়মিত ক্রায়োথেরাপি চেম্বার ব্যবহার করেন। এই চেম্বারের তাপমাত্রা শরীরে পেশির প্রদাহ কমাতে, ব্যথা দূর করতে এবং দ্রুত রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং পেশির ক্লান্তি কমাতে রেড লাইট থেরাপি, আইস বাথ প্রভৃতি ব্যবহার করে থাকেন।
হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রকে সবল রাখেন তিনি। এছাড়া শরীরের নিম্নাংশের শক্তি বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেন তিনি। এমনকী লেগ মাসলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পাইলটেস ও যোগব্যায়ামেরও সাহায্য নেন এই ক্রীড়াবিদ।
হাইপার-স্ট্রিক্ট ডায়েট মেনেই তিনি প্রতিদিনের খাবার খেয়ে থাকেন। সারাদিনে ছ'বার ছোত ছোট ভাগে খাবার খান। অত্যধিক প্রোটিন ও কম ফ্যাট যুক্ত খবারেই তাঁর বিশেষ ভরসা।
শরীরের বায়োকেমিক্যাল মার্কার্স নজরে রাখতে রোনাল্ডো নিয়মিত তাঁর রক্ত পরীক্ষা করান। এতে শরীরে যেকোনও পুষ্টির অভাব, হরমোনের ত্রুটি কিংবা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করা যায় দ্রুত।
একটি বিশেষ হাইড্রেশন রুটিন মেনে চলেন রোনাল্ডো। তিনি কার্বনেটেড ড্রিংকস বা চিনি যুক্ত পানীয় কঠোরভাবে এড়িয়ে চলেন। দিনে ৩-৪ লিটার জল পান করেন তিনি। ট্রেনিং সেশনের সময় এবং পরে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ দ্রবণ ব্যবহার করেন।
ফিটনেসের ক্ষেত্রে কোষীয় স্তরে শক্তি উৎপাদন বাড়ানোর পন্থা অনুসরণ করতে দেখা যায় রোনাল্ডোকে। তিনি মনে করেন যে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং পুষ্টির মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এটি কোষের পাওয়ারহাউস হিসেবে কাজ করে। তাই, উন্নত মাইটোকন্ড্রিয়াল ফাংশন তাঁকে দ্রুত শক্তি সরবরাহ এবং ক্লান্তি প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৪০ বছর বয়সেও রোনাল্ডোর শরীরের গঠন এক তরুণ খেলোয়াড়ের মতো। তাঁর শরীরে চর্বির পরিমাণ সাধারণত ৭%-এর আশেপাশে থাকে। যেখানে একজন গড় পেশাদার ফুটবলারের শরীরে চর্বি থাকে ১০-১১% পর্যন্ত।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 04:31 PM Nov 19, 2025Updated: 05:18 PM Nov 19, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
