Advertisement
থিমে কোনারকের সূর্য মন্দির থেকে পুতুল নাচের ইতিকথা, ছবিতে হুগলির পুজোদর্শন
পুজোতে মানুষের ঢল।
ষষ্ঠীর বোধনের দিনেই মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়তেই বিভিন্ন বয়সের মানুষজন পথে নেমে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। কলকাতার পাশাপাশি হুগলি জেলার একাধিক জায়গাতেও মানুষের ঢল নেমেছে। কোন্নগর, শ্রীরামপুর, ব্যান্ডেল, চণ্ডীতলায় পঞ্চমী থেকেই পুজো মণ্ডপে ভিড় বাড়ছে। হুগলি জেলার কোন্নগরের শক্তি সংঘের পুজো এবার বিশেষ নজর কেড়েছে সকলের। এখানে ৭৩ বছরের পুজোয় এবার বিশেষ আকর্ষণ মণ্ডপে ফুটে উঠেছে রাজস্থান। আর প্রতিমা বিশেষ ভাবে নজর কাড়ছে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণে পুজো মণ্ডপগুলিতে থিমের আধিক্য দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। হুগলির বিভিন্ন জায়গার পুজোতেও এবার থিম লক্ষ্য করা গিয়েছে। শ্রীরামপুর আরএমএস, গান্ধী ময়দানের পুজো ১১২ তম বছরে পড়েছে। এবারের মণ্ডপ কোনারকের সূর্য মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে। এই পুজোর সভাপতি পদে আছেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
চণ্ডিতলা নবজাগরণ সংঘের পুজো এবার ২৬ বছরে পড়ল। এবার পুজোর থিম 'বাংলা আমার প্রাণ'। বাংলার জীববৈচিত্রের মিলনমেলার সঙ্গে গ্রাম্য পরিবেশে মানুষ জীবনশৈলী সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। সঙ্গে রয়েছে কবিগুরুর সহজপাঠ। সহজপাঠের প্রতিটা ছবি তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপের দেওয়ালে। বাঁশ, কুলো, খড়,পাখা যেগুলো গ্রাম বাংলার এখন নিজস্ব, সেসব দিয়ে এখানে মণ্ডপ সেজে উঠেছে। নিজস্ব চিত্র
শ্রীরামপুরের সিমলা নতুনপাড়া মহিলা বৃন্দের পুজো এবার তৃতীয় বর্ষে পড়ল। এবারের থিম ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’। পুজো কমিটির সদস্য প্রিয়াঙ্কা দে বলেন, “পুরনো দিনের পুতুল নাচের যে শিল্পসত্তা প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, সেটিকে আমরা এই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরছি। পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জও শহুরে সংস্কৃতির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনার পর ছোটরা মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করায় বহু ঐতিহ্যবাহী খেলা লুপ্তপ্রায়। তাই পুতুল নাচের পাশাপাশি ছোটদের বিভিন্ন খেলাকেও আমরা থিমে অন্তর্ভুক্ত করেছি।” বহু মানুষ এই পুজো দেখতে ভিড় করছেন। নিজস্ব চিত্র
ব্যান্ডেল কেওটা নবীন সংঘের পুজো এবার ৫৩ বছরে পড়ল। এবারে মণ্ডপের থিম রঙের হাট। মণ্ডপে প্রচুর রঙের সমারোহ দেখা গিয়েছে। তবে মাতৃপ্রতিমা বরাবরের মতো এবারও সাবেকি। প্রতিমার পিছনের চালা অত্যন্ত নজর কাড়বে আগত দর্শনার্থীদের। নিজস্ব চিত্র
ব্যান্ডেলের কেওটা এলাকার সুব্রত সমিতির পুজোও প্রতিবারের মতো এবারও নজর কেড়েছে। এবার বিভিন্ন ধরনের আল্পনা দিয়ে মণ্ডপের দেওয়াল ও ছাদ তৈরি হয়েছে। আল্পনার কাজ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। এমনই জানাচ্ছে উদ্যোক্তারা। এখানেও প্রতিমা একচালার। নিজস্ব চিত্র
মাখলা বিবেকানন্দ সংঘ পূজা কমিটির দুর্গাপুজোর এবারের ভাবনা মাটির টানে। বর্তমানে যেভাবে উত্তরপাড়া শহরজুড়ে বৃক্ষছেদন চলছে তারই প্রতিবাদ মণ্ডপে ও দেবীর মূর্তিতে রূপ পেয়েছে। এবছর পুজোর উদ্বোধন করেন এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা ১০৫ বছর বয়সী জোৎস্না ভৌমিক। সঙ্গে ছিলেন এলাকার প্রবীণ নাগরিকরা ও পুরসভার পুরপ্রধান। নিজস্ব চিত্র
শিল্পী বলেন, "মাটি হল সব। এই মাটি থেকেই সকলের সূচনা শুরু। কিন্তু আমরা বর্তমানে এই মাটি থেকেই বিচ্ছিন্ন। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য নির্বিচারে গাছ কেটে চলেছি। সেই ভাবনায় আমাদের মায়ের প্রতিমা এইবার একটি বটবৃক্ষের ওপর।" বিভিন্ন জায়গায় গাছে ডাল ও গাছ কাটা হয়। সেসব ডাল, গাছের অংশ এবার পুজোর মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
Published By: Suhrid DasPosted: 06:40 PM Sep 28, 2025Updated: 06:40 PM Sep 28, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
