Advertisement
'জীবনের স্বাদ'-এর খোঁজ দিয়েছিল ক্যাডবেরি গার্ল! কেমন করে খুঁজে পান পীযূষ পাণ্ডে
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি পীযূষের প্রয়াণে শোকের ছায়া।
প্রয়াত বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি পীযূষ পাণ্ডে। তাঁর মৃত্যু কার্যতই এক যুগাবসান। ভারতের আমজনতার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের এক সোনালি যোগসূত্র রচনায় তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত। ক্যাডবেরির ‘কুছ খাস হ্যায়’ থেকে ভোডাফোনের পাগের বিজ্ঞাপন, সবই ছিল পীযূষের মস্তিষ্কপ্রসূত। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারের স্লোগান ‘অব কি বার, মোদি সরকার’ও তাঁরই সৃষ্টি।
তবে এই সমস্ত বিজ্ঞাপনের মধ্যে আলাদা করে বলতেই হয় ক্যাডবেরির ‘কুছ খাস হ্যায়’ বিজ্ঞাপনটি। এদিন পীযূষের প্রয়াণ সংবাদ ভেসে আসার পরই ভারতীয় জনমানসে ফিরে ফিরে এসেছে সেই নস্ট্যালজিয়া। তখনও পুরোদস্তুর সাদা-কালো টিভির জমানা শেষ হয়নি। রঙিন টিভি তো বটেই, সাদা-কালো ছোটপর্দাকেও যেন বর্ণিল করে তুলত ওই বিজ্ঞাপন।
বিজ্ঞাপনে দেখা যেত এক তরুণীকে। হাতে ক্যাডবেরি নিয়ে সে গ্যালারিতে বসে দেখছে প্রেমিকের ব্যাটিং। সে তখন ব্যাট করছে ৯৯ রানে। কিন্তু বেহিসেবি হুক শটে বুঝি এবার আউটই হতে হবে! বাউন্ডারি লাইনের ধারে ক্যাচ ধরতে প্রস্তুত ফিল্ডার। প্রেমিকা তরুণীর হৃদয়ে তখন ভাঙনের সুর।
শেষপর্যন্ত অঘটন ঘটে না। বল পেরিয়ে যায় সীমারেখা। আর তখনই গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত তরুণী দৃশ্যমান হয়। এবং এরপর পুলিশ প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে সে মাঠে নেমে পড়ে। আশ্চর্য নাচে বিহ্বল করে দেয় সকলকে। বিজ্ঞাপন শেষ হয় প্রেমিকের বক্ষলগ্না প্রেমিকার হাসিতে।
১৯৯৪ সালের ওই বিজ্ঞাপন কার্যতই কিংবদন্তি হয়ে ওঠে। এর আগে ক্যাডবেরিকে মূলত ছোটদের খাদ্য বলেই দেখানো হত। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন এর ক্রেতার বয়সের সীমাকে ভেঙেই দিল। নিঃসন্দেহে বিজ্ঞাপনটির মূল আকর্ষণ শিমোনা রাশি নাম্নী মেয়েটি। শোনা যায়, সমস্ত কিছু প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পরও কেবল মেয়েটির চরিত্রে মানানসই কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলেই শুটিং করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপরই শিমোনার খোঁজ মেলে। যদিও নাচে তিনি তত দক্ষ ছিলেন না, তবু ওই বিজ্ঞাপনে দরকার ছিল এমনই প্রাণোচ্ছ্বল এক নৃত্যরতাকে। সেই চরিত্রে শিমোনার চেয়ে নিখুঁত বোধহয় কাউকে পাওয়া যেত না। রাতারাতি 'ন্যাশনাল ক্রাশ' হয়ে ওঠেন তিনি।
এরই পাশাপাশি ‘এশিয়ান পেন্টস’-এর বিজ্ঞাপন ‘হর খুশি মে রং লায়ে’র মতো বিজ্ঞাপনও পীযূষের মস্তিষ্কপ্রসূত। সেই বিজ্ঞাপনও প্রবল জনপ্রিয় হয়েছিল। বারবার টিভির পর্দায় দেখানোর পরও দর্শককে কখনও ক্লান্ত করেনি।
‘ফেভিকল’-এর একাধিক বিজ্ঞাপন কিংবা ভোডাফোনের (তখন নাম ছিল হাচ) পাগ কুকুরের বিজ্ঞাপনের মতো অসংখ্য ‘মিথ’ হয়ে যাওয়া বিজ্ঞাপনেরও স্রষ্টা পীযূষ। একের পর এক এমন বিজ্ঞাপন তাঁকে কিংবদন্তি করে তোলে।
Published By: Biswadip DeyPosted: 08:17 PM Oct 24, 2025Updated: 08:17 PM Oct 24, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
