Advertisement
ছ'বছর পর 'হাউসফুল' ইডেনে দাপট টিম ইন্ডিয়ার, বুমরাহর 'নিখুঁত' পরামর্শেই বাজিমাত সিরাজের
প্রথম দিন বিতর্কও পিছু ছাড়ল না ইডেনের ২২ গজকে।
২২ গজে টানটান উত্তেজনা, রুদ্ধশ্বাস লড়াই মানেই এখন টি-টোয়েন্টি। আর এই টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্ট ম্যাচ কার্যত মৃতপ্রায়। কিন্তু শুক্রবারের ইডেন প্রমাণ করে দিল, এ শহর ক্রিকেটকে কতখানি ভালোবাসে।
এদিন সকাল থেকেই সিরিজের প্রথম ম্য়াচ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। শুভমান গিলরা মাঠে নামার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভরে গেল ইডেনের গ্যালারি। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যাটা আরও বাড়তেই থাকল।
২০১৯ সালে শেষবার টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল ক্রিকেটের নন্দনকাননে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট। সে সময় বিসিসিআইয়ের মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছ'বছর পরও আবারও ক্রিকেট প্রশাসনে 'দাদা'। সিএবি প্রেসিডেন্ট তিনি। এত বছর পর তিনিও ভরা ইডেনে উপভোগ করলেন পাঁচদিনের ক্রিকেট। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও।
ভরা গ্যালারিকে নিরাশও করেননি ভারতীয় তারকারা। দুর্দান্ত ছন্দে টিম ইন্ডিয়াকে দেখার সুযোগ পেলেন সমর্থকরা। জশপ্রীত বুমরাহ তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। ২০০৮ সালের পর কোনও টেস্টের প্রথম দিনেই পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৭ বছর আগে আহমেদাবাদে এই নজির গড়েছিলেন ডেল স্টেন। এদিকে মহম্মদ সিরাজও ঝুলিতে ভরেন জোড়া উইকেট। যার কৃতিত্ব অবশ্য বুমরাহকেই দিচ্ছেন 'ডিএসপি'।
নিজের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সিক্রেট ফাঁস করেএদিন সিরাজ জানান, “উইকেটের একটা প্রান্তে ব্যাট করা সহজ হলেও অন্য প্রান্তে বাউন্সের বৈচিত্র থাকায় রান করা ততটাও সহজ নয়। জস্সি ভাই আমায় বলল, স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করতে। তাহলেই উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বলের লাইন ঠিক থাকলে এলবিডব্লিউ, বোল্ড বা ক্যাচও উঠতে পারে। আমি সেটাই করেছি।”
এদিন বুমরাহ, কুলদীপ, সিরাজদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৯ রানে। মার্করামের ৩১ রান ছাড়া কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। জবাবে দিনের শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৩৭।
Published By: Sulaya SinghaPosted: 12:03 AM Nov 15, 2025Updated: 12:03 AM Nov 15, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
