Advertisement
দেবী কালিকার ১১টি রূপ! গৃহস্থ বাড়িতে পূজিতা হন মাত্র দু'টি রূপে
জানুন মায়ের কোন রূপের কী মাহাত্ম্য।
কালিকাপুরাণ ও অন্যান্য তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে দেবী কালিকার বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। দেবী আদ্যাশক্তি। অর্থাৎ- স্থির, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় তিনি ব্রহ্ম। ব্রহ্ম যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখনই তিনি কালী রূপে প্রতিভাত হন। দেবীকে নানা রূপে আরাধনা করা হয়। মহাকাল সংহিতা অনুসারে কালীর ন'টি রূপ। আবার তোড়ল তন্ত্র অনুসারে কালী অষ্টধা—আটটি রূপ। তবে, কালীর বিশেষ ১১টি রূপই অধিক প্রচলিত।
দক্ষিণাকালী: গ্রাম বাংলায় দেবীকে বেশি পূজিত হতে দেখা যায় দক্ষিণাকালী রূপে। ইনি শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। দেবী গায়ের বর্ণ নীল। গলায় থাকে মুণ্ডমালা। আশীর্বাদ ও অভয় মুদ্রা দেখা যায় ডান হাতে। বাঁ হাতে থাকে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। এই কালীর নিচে দেবাদিদেব মহাদেব শায়িত অবস্থায় থাকেন।
শ্মশানকালী: এই দেবীর পুজো হয় শ্মশানে। কথিত আছে, ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে ডাকাতেরা এই কালীর পুজো করতেন। তন্ত্র ও মন্ত্র সহযোগে এই দেবীর পুজো দিতে হয়। এই পুজোর প্রধান আচার হল বলি দান।
ফলহারিণী কালী: গৃহস্থ বাড়িতে বছরে একবার এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। বাড়িতে বাস্তু সমৃদ্ধিতে ও সংসারে সকলের মঙ্গল কামনায় দেবীর এই রূপকে পুজো করা হয়।
মহাকালী: ভূত চতুর্দশীতে এই দেবীর পুজো দেওয়া হয়। দেবীর দশ মাথা, দশ হাত ও দশ পা। দশ হাতেই ধরা থাকে অস্ত্র। তবে এই দেবীর সঙ্গে শিবকে দেখা যায় না।
কাম্যাকালী: অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা ও পূর্ণীমায় কাম্যাকালীর পুজো হয়ে থাকে। এই কালীর পুজো পদ্ধতি অনেকতা দক্ষিনা কালীর মতোই।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 05:14 PM Oct 14, 2025Updated: 05:14 PM Oct 14, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
