Advertisement
'ঠোঁটে ঠোঁট রেখে...' চুমুর ২ কোটি বছর! আদিম মানুষের 'বন্য' প্রেমের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
নতুন গবেষণায় উঠে এল কোন বিস্ময়কর ইতিহাস?
'অরুন্ধতি, সর্বস্ব আমার হাঁ করো, আ-আলজিভ চুমু খাও, শব্দ হোক ব্রহ্মাণ্ডপাতালে'... এই 'প্যাশন' কি কেবলই আধুনিক মানুষের প্রেমের অভিজ্ঞান? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একেবারেই তা নয়। সম্ভবত আজ থেকে ২ কোটি বছর আগে থেকেই আদিম মানব জেনে গিয়েছিল ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁলে কেমন করে 'বিদ্যুৎ' খেলে যেতে পারে!
'ইভোলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ার' নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। যেখানে ঠোঁটে ঠোঁট রাখার প্রাগৈতিহাসিক সেই সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষকদের দাবি, মোটামুটি ২ কোটি ১০ লক্ষ বছর থেকে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ বছরের মধ্যবর্তী সময় থেকেই আদিম মানব শুরু করে ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করা আদর!
চুম্বনকে হোমো স্যাপিয়েন্সেরই 'সম্পত্তি' মনে করা হয়েছে এতকাল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও এই অভ্যাস ছিল। সোজা কথায়, চুম্বনের ইতিহাস আমাদের ধারণার থেকে অনেক বেশি প্রাচীন।
গবেষকরা বলছেন নিয়ান্ডারথালরা পরস্পরকে চুম্বন তো করতই। এমনকী হোমো স্যাপিয়েন্সকেও তারা চুমু খেত ঠোঁটে। ফসিল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালদের মুখগহ্বরের ভিতরে একই ধরনের জীবাণু রয়েছে। আবার একের মুখের ভিতরে অন্যের লালারসেরও চিহ্ন দেখা গিয়েছে। যা তাদের মধ্যে চুম্বনের প্রচলনেরই প্রমাণ।
উল্লেখ্য, হোমো স্যাপিয়েন্স ও নিয়ান্ডারথালদের সম্পর্ক বেশ জটিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিয়মিত এই দুই প্রজাতির মধ্যে হওয়া যৌনতাই নিয়ান্ডারথালদের শেষ করে দিয়েছিল। তবে সেই সঙ্গে এও দাবি যে, এখনও এই দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে জোরালো কিছু খাড়া করা যাচ্ছে না। কিন্তু পর্যবেক্ষণের ফলাফল সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
গবেষণার শুরুতেই গবেষকরা বুঝে নিতে চেয়েছিলেন চুম্বন এবং অন্যান্য মুখ-থেকে-মুখ আচরণের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। তাঁরা গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, খাদ্য স্থানান্তর ছাড়া অ-আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মুখে মুখ স্পর্শ করাকেই তাঁরা চুম্বন বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। তাঁরা শিম্পাঞ্জি, ওরাং ওটাং-সহ বানর প্রজাতিকেও পর্য়বেক্ষণ করেছেন।
Published By: Biswadip DeyPosted: 05:57 PM Nov 20, 2025Updated: 05:57 PM Nov 20, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
