Advertisement
নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার কোন ৯টি রূপ পূজিত হয়? কোন রূপের কী বিশেষত্ব?
প্রতিপদ থেকে নবমী, দেবী ন'টি রূপে পূজিত হন।
বাঙালির দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি ও আমেজ শুরু হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাঙালির পুজো ষষ্ঠীতে শুরু হলেও গোটা উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে ৯ দিন দেবীর আরাধনা চলে। ন'দিন ধরেই ব্রত পালন করা হয়। অমাবস্যার তিথি প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই নয় তিথিকে বলা হয় নবরাত্রি। ন'রাত্রি ধরে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় ৯টি ভিন্ন ভিন্ন রূপে। দুর্গার ৯টি রূপের আরাধনা শেষে উপবাস ভাঙেন উপাসকরা। দেবীর এই নটি রূপকেই একত্রে নবদুর্গা বলা হয়। কী কী সেই রূপগুলি? কোন রূপের কী মহিমা? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
শৈলপুত্রী: নবদুর্গার প্রথম রূপ হলেন শৈলপুত্রী। শুক্ল প্রতিপদে এই দেবীর আরাধনা হয়। ইনি সতী, ভবানী, পার্বতী ও হৈমবতী নামেও পরিচিত। শৈলপুত্রীর ডান হাতে থাকে ত্রিশূল। আর বাম হাতে কমল বা পদ্ম। মস্তকে থাকে অর্ধ চন্দ্র। দেবী শৈলপুত্রী হিমালয়ের কন্যা। পূর্বজন্মে ইনি দক্ষনন্দিনী সতী ছিলেন।
ব্রহ্মচারিণী: শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন 'ব্রহ্মচারিণী' রূপে। এই রূপে দেবী শ্বেত বস্ত্র পরিহিতা, ডান হাতে জপ মালা ও বাম হাতে থাকে কমণ্ডলু। মায়ের এই ব্রহ্মচারিণী রূপটি ভক্ত ও সাধকদের কাছে অনন্ত ফল প্রদান করে। দেবীর আরাধনায় তপস্যা, ত্যাগ, বৈরাগ্য, সংযম প্রভৃতি বৃদ্ধি পায়।
চন্দ্রঘণ্টা: দেবী শক্তির তৃতীয় রূপ হলেন চন্দ্রঘণ্টা। শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে তিনি পূজিতা হন। যদিও তিনি চন্দ্রখণ্ডা, চন্দ্রিকা ও রণচণ্ডী নামেও খ্যাত। এই দেবীর গ্রহ হল শুক্র। প্রিয় ফুল পদ্ম এবং প্রিয় রং লাল। সাধনায় সাধক ও যোগীদেরকে দেবী দিব্য ও অদৃশ্য শক্তি দান করে থাকেন।
কুষ্মাণ্ডা: শুক্লা চতুর্থী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন কষ্মাণ্ডা রূপে। শাস্ত্র মতে, বলিদানের মধ্যে কুমড়ো মায়ের অধিক প্রিয়। আর সংস্কৃতে কুমড়োকে বলা হয় কুষ্মাণ্ড। দেবী অষ্টভূজা ও ত্রিনয়নী। তিনি সিংহের পিঠে উপবেশন করেন। এই দেবীর প্রিয় ফুল হলুদ গোলাপ।
স্কন্দমাতা: কার্তিকের মা হিসেবে তিনি পরিচিত। পঞ্চমী তিথিতে এই স্কন্দমাতা পূজিত হন। দেবী ত্রিনয়নী। রয়েছে চারটে হাত। ডানদিকের ওপরের হাতে রয়েছেন দেবশিশু কার্তিক। একহাতে বরাভয় মুদ্রা ও অপর দু'হাতে পদ্ম।
কাত্যায়নী: নবদুর্গার মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ শক্তি হলেন কাত্যায়নী। ভাগবতের দশম স্কন্ধে কাত্যায়নী ব্রতের উল্লেখ রয়েছে। এই রূপেই দেবী মহিষাসুর বধ করেছিলেন। ষষ্ঠী তিথিতে তিনি পুজিত হন।
কালরাত্রি: আশ্বিনের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে নবদুর্গার এই রূপটি পূজিত হয়ে থাকেন। কালকে নাশ করেন বলেই দেবীর নাম কালরাত্রি। গ্রহরাজ শনিদেব হলেন এই কালরাত্রি দেবীর গ্রহ। দেবীর এই রূপ অত্যন্ত হিংস্র ও ভয়ংকর। এই রূপেই দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে হত্যা করেন।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 04:22 PM Aug 27, 2025Updated: 04:23 PM Aug 27, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
