Advertisement
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ধ্বংস করে ফেলবে NASA! তৈরি হবে 'মহাকাশ-শহর'
এটাই হতে চলেছে প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন।
দিনে ২৪ ঘণ্টা। সপ্তাহে সাতদিন। ২০০০ সালের নভেম্বর থেকে নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সব সময়ই কোনও না কোনও মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সিকি শতক পেরিয়ে এবার 'মৃত্যু'র নিকটে পৌঁছে গিয়েছে সেটি। ২০৩০ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে নাসা।
১৯৯৮ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনকে। এখনও পর্যন্ত ২৬টি দেশের ৩০০ জন মানুষ সেখানে গিয়েছে। চালিয়ে গিয়েছেন মহাকাশ গবেষণার কাজ। কিন্তু এই স্টেশনের মেয়াদ ছিল মাত্র ১৫ বছরের। যা ফুরিয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই।
এই স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণে নাসার সহযোগী আরও চার দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। রাশিয়ার রসকসমস, ইউরোপের ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি, জাপানের জাক্সা ও কানাডার সিএসএ। এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্পেস স্টেশন।
নাসার পরিকল্পনা, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনকে ধ্বংস করে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলে দেওয়া হবে। কিন্তু এই ধ্বংসের খবরের সঙ্গে সঙ্গেই রয়েছে সুসংবাদও!
এবার 'মহাকাশ-শহর' চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। যার নাম রাখা হয়েছে 'হ্যাভেন-১'। আসলে এটি প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন।
শুধু গবেষণা নয়, বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা যাবে একে। তবে নাসার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে।
চিনের রয়েছে তিয়াংগং স্পেস স্টেশন। যা এই মুহূর্তে নির্মীয়মাণ। ইতিমধ্যেই তা কার্যকর হয়ে গিয়েছে। যা ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের 'স্থায়ী' ঘর হতে চলেছে। সেই প্রকল্পকে একরকম চ্যালেঞ্জ জানিয়েই নাসা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তাদের কাজ।
নাসার পরিকল্পনা কেবলই গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং এবার স্পেস স্টেশনে নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে ফেলাই লক্ষ্য তাদের। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেখানে থাকবে ছোট ছোট কৃষিক্ষেত্রও! কৃষিকাজ চালিয়ে সেখানে দিব্যি বসবাস করা যাবে দিনের পর দিন। থাকবে আলাদা ঘুমের জায়গা, স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট সংযোগও। অর্থাৎ এখনকার চেয়ে পরিবেশ হবে অনেক বেশি আরামপ্রদ।
Published By: Biswadip DeyPosted: 07:44 PM Oct 14, 2025Updated: 07:44 PM Oct 14, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
