Advertisement
‘জোরাওয়ার’ ট্যাঙ্ক ও 'নাগ' ক্ষেপণাস্ত্রের জোড়া ফলা আসছে সেনার হাতে! রক্ষে নেই চিন-পাকিস্তানের
আগামী শীতে নয়া অস্ত্র আসছে সেনার হাতে।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে মোদি সরকার। একদিকে আধুনিক সরঞ্জাম, অন্যদিকে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় সেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ট্যাঙ্ক জোরাবর তৈরি করছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO। জানা গিয়েছে, এই হালকা ট্যাঙ্কে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘নাগ’ ক্ষেপণাস্ত্র বসানো যাবে এবং ছোড়া যাবে। গোটা বিষয়টি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
‘এল অ্যান্ড টি হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর সহযোগিতায় তুলনায় হালকা ওজনের জোরাওয়ার ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে ডিআরডিও। যাতে বসানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নাগ এমকে-২। শঙ্কিত শত্রুরা।
ক্ষেপণাস্ত্র নাগ এমকে-২ আকাশ থেকে স্থল এবং স্থল থেকে স্থল যুদ্ধে পারঙ্গম। শত্রু পক্ষের চার কিলোমিটার দূরে থাকা ট্যাঙ্ককে নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশ থেকে ছুড়লে নাগ এমকে-২ সাত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
এই মুহূর্তে জোরাবর ট্যাঙ্কে ক্ষেপণাস্ত্র নাগ এমকে-২ বসিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখের পাহাড়ে, শীতল মরুভূমি অঞ্চলে এবং গুজরাটের কচ্ছের রণের দুর্গম ভূখণ্ডে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে পরীক্ষা।
আশির দশকে ডিআরডিও ‘ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর আওতায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল। এই পাঁচ ক্ষেপণাস্ত্র হল অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশূল এবং নাগ।
Published By: Kishore GhoshPosted: 06:36 PM Oct 22, 2025Updated: 07:32 PM Oct 22, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
