Advertisement
পুতিনের ব্রহ্মাস্ত্র! সফল ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা, 'ঝড়ের পাখি'কে রোখা কার্যত অসম্ভব!
র্যাডারের নজর এড়িয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিকবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল 'বুরেভেস্তনিক'-এর সফল পরীক্ষা করল রাশিয়া। দাবি করা হচ্ছে, এটিই হল বিশ্বের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র যা বিশ্বের যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম।
সফল পরীক্ষার পর রাশিয়ার শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের তরফে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এই মিসাইলের বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু জ্বালানি ব্যবহারের ফলে অসীম দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে 'বুরেভেস্তনিক'। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন এই ক্ষেপণাস্ত্র ১৪০০০ কিলোমিটার (৮৭০০ মাইল) অতিক্রম করে। একটানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে সক্রিয় ছিল এটি।
প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, ‘৯এম৭৩০ বুরেভেস্তনিক’ (ন্যাটোর দেওয়া নাম, এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) ক্ষেপণাস্ত্র ‘অপরাজেয়’। এর গতিপথ অনিশ্চিত ও পাল্লা প্রায় সীমাহীন। এটি এমন এক অস্ত্র, যা বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছে নেই। অবিলম্বে এই মারণাস্ত্র মোতায়েন করারও নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
বুরেভেস্তনিক সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর বিশেষত্ব একটি ছোট পরমাণু রিয়েক্টর। যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে অসীম দূরত্ব পার করার শক্তি দেয়। অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি শেষ হলেই কার্যক্ষমতা শেষ হয়। কিন্তু এটি যেহেতু পরমাণু জ্বালানি সম্পন্ন তাই একমাস পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারে। রুশ ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে 'স্ট্রম পেট্রল' বা 'ঝড়ের পাখি'। মাটি থেকে মাত্র ৫০-১০০ মিটার উপর দিয়ে উড়তে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে র্যাডারে এটি ধরা পড়ে না।
অত্যাধুনিক এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে পরমাণু ওয়্যারহেড। যা এই মারণাস্ত্রকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য মাত্র ৯-১১ মিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিজাইনড রেঞ্জ ২২,৫০০ কিলোমিটার। আকাশে ইচ্ছেমতো রাস্তা বদলাতে পারে এটি। ক্ষেপণাস্ত্রটি 'সাবসনিক' গতিসম্পন্ন। অর্থাৎ এর গতি শব্দের চেয়ে কম। ৫০-১০০ মিটার উচ্চতা দিয়ে ওড়ার ফলে র্যাডারে এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে না।
সাধারণত বিশ্বের অন্যান্য ক্রুজ মিসাইল জেট ইঞ্জিনের উপর নির্ভরশীল। তবে বুরেভেস্তনিক সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি কম্প্যাক্ট নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর দিয়ে সজ্জিত। এই রিঅ্যাক্টর বাতাসকে অত্যন্ত উত্তপ্ত করে, যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রসারিত করে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি পারমাণবিক জ্বালানিসম্পন্ন, যার ফলে এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিকবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম। একইভাবে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে হামলা চালাতে সক্ষম।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 06:21 PM Oct 26, 2025Updated: 06:50 PM Oct 26, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
