Advertisement
পরমাণু-বিষে দানব তৈরি হচ্ছে চেরনোবিলে! পরিত্যক্ত নগরে দেখা মিলল অদ্ভুতূড়ে নীল কুকুরের
চেরনোবিল এক্সক্লুশন জোনে প্রায় সাতশো কুকুর থাকে।
১৯৮৬ সালে ইউক্রেনে চেরনোবিল পরমাণুশক্তি কেন্দ্রের দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। এত বছর পরেও যেন আতঙ্কের রেশ কাটেনি। এবার চর্চায় সেখানে বসবাসকারী কুকুররা। দেখা গিয়েছে সেখানকার তিনটি কুকুরের শরীর ছেয়ে গিয়েছে উজ্জ্বল নীল পশমে!
চেরনোবিলের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা তথা চেরনোবিল এক্সক্লুশন জোনে প্রায় সাতশো কুকুর থাকে। ১৮ বর্গ মাইল আয়তনের ওই অঞ্চলটি মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ার পর প্রকৃতি দখল করে সেটি। দুর্ঘটনার সময় যে কুকুররা ছিল, এই কুকুরেরা তাদেরই বংশধর। কার্যতই চেরনোবিলের ওই অঞ্চলে টিকে থাকা প্রাণীকুলের এক অনন্য প্রতীক ওই কুকুরেরা। কিন্তু এত বছর পরে তাদের শরীরে পরিবর্তন কেন?
'ডগস অফ চেরনোবিল' নামের এক সংগঠন ওই কুকুরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। নিয়মিত অবোলা জীবগুলির দেখভাল করে তারা। আচমকাই সম্প্রতি ওই সংঘঠনের নজরে আসে তিনটি কুকুর নীলবর্ণ হয়ে উঠেছে। অথচ একসপ্তাহ আগেও তাদের চেহারা এমন ছিল না। আর এখানেই ঘনাচ্ছে রহস্য।
কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সন্দেহ, নিশ্চিত ভাবেই কোনও রাসায়নিক বস্তুর সংস্পর্শে এসেছিল ওই কুকুরেরা। আর তার ফলেই তাদের পশম ওরকম নীল রঙে ছেয়ে গিয়েছে। চেরনোবিলের বিষাক্ত পরিবেশে এতবছর ধরে দিব্যি বসবাস করার পর এমন পরিবর্তন! আর তাই তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বিজ্ঞানী অন্যান্য সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশে থাকা শিল্পজাত রাসায়নিক কিংবা ভারী ধাতুর সংস্পর্শে আসা। আপাতত তদন্তকারীরা কুকুরদের পশম, চামড়া ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। মনে করা হচ্ছে, ওই নমুনা পরীক্ষা করেই আসল সত্যিটা জানা যাবে।
সংগঠনের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ''আমরা কারণটা জানি না। সম্ভবত ওরা কোনও ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসেছিল।'' তবে দেখা গিয়েছে, শরীরে পরিবর্তন দেখা দিলেও কুকুরগুলি সুস্থসবল রয়েছে। তাদের আচরণে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের (এখনকার রাশিয়া) চেরনোবিল যা বর্তমানে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ৩১ জন মানুষ প্রাণ হারান। ৩ লক্ষ ৪০ হাজার জন আক্রান্ত হন। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় পারমাণবিক কেন্দ্রটি।
Published By: Biswadip DeyPosted: 05:09 PM Oct 29, 2025Updated: 05:10 PM Oct 29, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
